খুলনা | বৃহস্পতিবার | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৪ আশ্বিন ১৪৩১

রোমানিয়ার স্টুডেন্ট ভিসা : ভারতের বিকল্প থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম

খবর প্রতিবেদন |
০১:৩৪ এ.এম | ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪


রোমানিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নের জন্য মনোনীত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা এখন থেকে ভারতের নয়াদিলি­তে রোমানিয়া দূতাবাসের পাশাপাশি ভিয়েতনামের হ্যানয়ে অবস্থিত রোমানিয়া দূতাবাস ও থাইল্যান্ডের ব্যাংককে অবস্থিত রোমানিয়া দূতাবাসে স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পূর্ব ইউরোপ ও সিআইএস অনুবিভাগ এ তথ্য জানিয়েছে।
বাংলাদেশে রোমানিয়াসহ ইউরোপের অনেক দেশেরই ভিসা সেন্টার না থাকায় এসব দেশের ভিসা প্রাপ্তি এবং অন্যান্য সেবা গ্রহণ করতে হয় ভারতে গিয়ে। কিন্তু ভারতের ভিসা সেন্টার বন্ধ থাকার কারণে বিপাকে পড়তে হচ্ছে ইউরোপগামী বাংলাদেশি শিক্ষার্থী এবং কর্মপ্রত্যাশীদের। তবে এক্ষেত্রে সুখবর দিয়েছে রোমানিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাস।
দিলি­¬তে অবস্থিত রোমানিয়া দূতাবাস যেহেতু বাংলাদেশিদের ভিসা ইস্যু করে থাকে, তাই তাদের এখন রোমানিয়ার ভিসা নিতে গেলে দিলি­তে যেতে হয়।কিন্তু ভারত স¤প্রতি বাংলাদেশিদের ভিসা প্রদান স্থগিত করায় রোমানিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রায় ৮০০-৯০০ বাংলাদেশি স্টুডেন্ট অফার লেটার পেলেও ভিসা প্রাপ্তিতে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। ফলে ভিসা সংকট দ্রুত সমাধানের দাবিতে আবেদন করে রোমানিয়ার ভিসা প্রত্যাশী শিক্ষার্থীরা।
এই অবস্থায় রোমানিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাস দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ন্যাশনাল ভিসা সেন্টার, রেক্টরস অ্যাসোসিয়েশনে যোগাযোগ করে ভিসা জটিলতা সমাধানের চেষ্টা করে। ফলে বাংলাদেশের কাছাকাছি থাকা থাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনামে রোমানিয়া দূতাবাস থেকে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ভিসা দিতে রাজি হয়েছে। ফলে এখন থেকে ভিয়েতনামের হ্যানয় এবং থাইল্যান্ডের ব্যাংকে রোমানিয়া দূতাবাস থেকে ভিসা নিতে পারবে।
এ বিষয়ে রোমানিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোঃ দাউদ আলী বলেন, এ বছর রোমানিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রায় ৮০০-৯০০ বাংলাদেশি স্টুডেন্ট অফার লেটার পেয়েছে। দিলি­¬তে অবস্থিত রোমানিয়া দূতাবাস যেহেতু বাংলাদেশিদের ভিসা ইস্যু করে থাকে, তাই তাদের এখন রোমানিয়ার ভিসা নিতে গেলে দিলি­তে যেতে হত। কিন্তু ভারত স¤প্রতি বাংলাদেশিদের ভিসা প্রদান স্থগিত করায় শিক্ষার্থীরা বিপাকে পড়েছে।
তিনি বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ২৭৪ জন শিক্ষার্থী সরাসরি আবেদন করেছিল যেন দ্রুত তাদের বিষয়টি সুরাহা করা হয়, কেননা ১ অক্টোবর থেকে ক্লাস শুরু হবে। এছাড়া অনেকে দূতাবাস ও আমাকে ইমেইলের মাধ্যমে অনুরোধ করেছিল। এরই পরিপ্রেক্ষিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা প্রপ্তির পরে আমরা রোমানিয়ার বিভিন্ন জায়গায় (রোমানিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ন্যাশনাল ভিসা সেন্টার, রেক্টরস এ্যাসোসিয়েশন প্রভৃতি) যোগাযোগ করেছি।