খুলনা | বৃহস্পতিবার | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৪ আশ্বিন ১৪৩১

লাশ পোড়ানোর ঘটনায় গ্রেফতার ডিবি পুলিশ কর্মকর্তা আরাফাত রিমান্ডে

খবর প্রতিবেদন |
০১:১১ এ.এম | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪


লাশ পোড়ানোর ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আশুলিয়া থানার হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেফতার ঢাকা জেলার উত্তর গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পুলিশ পরিদর্শক আরাফাত হোসেনের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। শুক্রবার রাতে ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাবেয়া বেগমের আদালত শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।
এদিন আরাফাত হোসেনকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক আবু তাহের মিয়া ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। আসামির পক্ষে তার আইনজীবী তা বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তিন দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
এর আগে  ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের দিন গত ৫ আগস্ট আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানোর ঘটনায় সম্পৃক্ত ইন্সপেক্টর আরাফাত হোসেনকে  শুক্রবার ভোরে রাজধানীর আফতাবনগর থেকে তাকে গ্রেফতার করে র‌্যাব-৩ এর একটি দল।
এ বিষয়ে র‌্যাবের লিগ্যাল ও মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনিম ফেরদৌস বলেন, ৫ আগস্ট আশুলিয়া থানার সামনে লাশ পোড়ানোর ঘটনার ভিডিও দেশ-বিদেশে নাড়া দেয়। এতে ব্যাপক সমালোচনা হয়। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তদন্তে উঠে আসে যে, গত ৫ আগস্ট আশুলিয়া থানার সামনে লাশ পোড়ানোর ঘটনায় সম্পৃক্ত ছিলেন ইন্সপেক্টর আরাফাত হোসেন। 
এরপর আত্মগোপনে চলে যান তিনি। ওই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় শুক্রবার রাজধানীর আফতাবনগর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভ্যানে লাশের স্তূপ করছে পুলিশ, এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। ভিডিওতে থাকা দেয়াল, পোস্টার ও ঘটনাস্থল দেখে নিশ্চিত হওয়া গেছে এটি আশুলিয়া থানার সামনের ভিডিও।
ভিডিওতে লাশের স্তূপ করা এক পুলিশ সদস্যকে দেখা যায়। পরে জানা যায়, তিনি হলেন ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) আরাফাত হোসেন। তার গ্রামের বাড়ি বরিশালে। প্রায় দুই বছর আগে ঢাকা জেলার গোয়েন্দা বিভাগে যোগ দেন তিনি। সেই ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর থেকে আত্মগোপনে চলে যান তিনি। বন্ধ ছিল মোবাইল ফোনও।
এর আগে গত ১১ সেপ্টেম্বর হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ভুক্তভোগী মো. রবিউস সানী বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় মামলা করেন। মামলায় শেখ হাসিনাসহ ৩০ জনকে আসামি করা হয়। এ মামলার ১০নং আসামি হলেন আরাফাত হোসেন। মামলার উলে­খযোগ্য অপর আসামিরা হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, ইউজিসির সাবেক সচিব ড. ফেরদৌস জামান, সাবেক সদস্য ড. মুহাম্মদ আলমগীর, ড. বিশ্বজিৎ চন্দ্র, ড. মোঃ সাজ্জাদ হোসেন।