সাতক্ষীরায় মাদকাসক্ত যুবকের হাতুড়ি পেটায় এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধি যুবতী নিহত হয়েছে। শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার দিকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার থানাঘাটা এলাকায় মাধব স্বর্ণকারের বাড়ির সামনে এঘটনা ঘটে। স্থানীয় জনতা ঘাতককে গণধোলাই দিয়ে তাকেসহ তার পরিবারের সদস্যদের র‌্যাব সদস্যদের হাতে তুলে দেয়।

নিহত বুদ্ধি প্রতিবন্ধি যুবতীর নাম রোজিনা খাতুন ওরফে চুমকি (২০)। সে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার থানাঘাটা গ্রামের রেজাউল ইসলামের মেয়ে। চুমকি সাতক্ষীরার রাজারবাগান কলেজ মাঠের পাশে অবস্থিত সুইড খাতিমুন্নেসা হানিফ লষ্কর বুদ্ধি প্রতিবন্ধি বিদ্যালয়ের ভোকেশনাল শ্রেণীর ছাত্রী ছিল।

ঘাতকের নাম ইলিয়াস হোসেন (৩০)। সে একই গ্রামের আকরাম হোসেনের ছেলে। গণধোলাইয়ের শিকার ইলিয়াসকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

নিহতের পিতা রেজাউল ইসলাম জানান, সকাল ৯টার দিকে প্রতিবেশী থানাঘাটা গ্রামের আকরাম হোসেনের ছেলে মাদকাসক্ত ইলিয়াস হোসেন (৩০) হাতুড়ি দিয়ে তার প্রতিবন্ধি মেয়ে চুমকির মাথায় সজোরে আঘাত করে। এতে সে গুরুতর আহত হয়। তাকে দ্রুত উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরী বিভাগে কর্তৃব্যরত চিকিৎস্যক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।

সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগে কর্তৃব্যরত চিকিৎস্যক মমতাজ মুজিব জানান, হাসপাতালে আনার পথেই তার মৃত্যু হয়েছে। ভারী জিনিস দিয়ে আঘাত করায় মেয়েটির মাথায় মারাত্মক হেড ইনজুরি হয়েছে। যে কারণে আঘাত পাওয়ায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ জনিত কারণে কিছুক্ষন পরেই সে মারা গেছে বলে ধারনা করা হচ্ছে।

এদিকে চুমকির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ইলিয়াস, তার বাবা আকরাম হোসেন, মা মনোয়ারা খাতুন, বোন নার্গিস ও ভগ্নিপতি লিটন, ভাগ্নে শান্ত ও শাওনকে আটক করে র‌্যাব সদস্যদের কাছে তুলে দেয়। এসময় ঘাতক ইলিয়াসকে গণধোলাই দেয় এলাকাবাসী।

সুইড খাতিমুন্নেসা হানিফ লষ্কর বুদ্ধি প্রতিবন্ধি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এম রফিক জানান, নিহত চুমকি তার বিদ্যালয়ের ভোকেশনাল শ্রেণীর ছাত্রী ছিল। সে বুদ্ধি প্রতিবন্ধি।

সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ রফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। স্থানীয় জনতা ঘাতক যুবককে আটক করে গণধোলাই দিয়ে র‌্যাবের হাতে তুলে দিয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। এঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।