খুলনা | বৃহস্পতিবার | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৪ আশ্বিন ১৪৩১

হুঁশিয়ারী লায়ন্স স্কুল এন্ড কলেজের ছাত্র ও অভিভাবকের

প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকের দুর্নীতি, অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেন নইলে কঠোর কর্মসূচি

নিজস্ব প্রতিবেদক |
০২:৪৫ এ.এম | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪


লায়ন্স স্কুল এন্ড কলেজ খুলনার প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকের দুর্নীতি ও অনিয়মের প্রতিবাদে শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের  উপস্থিতিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবের হুমায়ুন কবীর বালু মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন লায়ন্স স্কুল এন্ড কলেজের ইংরেজি প্রভাষক মোঃ রফিকুল ইসলাম। 
তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে প্রতিষ্ঠানের সাবেক সভাপতি, প্রধান শিক্ষক মোঃ বাদশা খান ও সহকারি প্রধান শিক্ষক গাউচ উদ্দিন শিকদার একচ্ছত্র ক্ষমতার দাপটে সাধারণ শিক্ষক ও কর্মচারীরা তাদের মতামত প্রকাশের সুযোগ পাননি। এমনকি অন্যায়ের সামান্যতম প্রতিবাদ করলে গুম, চাকুরিচ্যুৎসহ বিভিন্ন ধরনের হুমকি দেয়া হতো। শিক্ষক কর্মচারীদের সাথে শিষ্টাচার বহির্ভূত আচরণ করাসহ ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদেরকে দিয়ে ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কাজ করাতে বাধ্য করতো।  আর অপারগতা প্রকাশ করলে বিভিন্ন ভাবে মানসিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়। এছাড়াও অর্থ আত্মসাৎ, প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে আবাসনে অবস্থানকারী চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের কাছ থেকে বিদ্যুৎ বিল বাবদ অর্থ গ্রহণ করলেও বিদ্যালয় ফান্ডে জমা দেয়নি বরং আত্মসাৎ করেছে। 
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয় ২ লক্ষ টাকা ফান্ডের জমা দেয়ার বিপরীতে পরিচালনা পর্ষদের দাতা সদস্য সরফুজ্জামান টফিকে অন্তর্ভুক্ত করলেও তার কাছ থেকে প্রাপ্ত অর্থ বিদ্যালয়ে জমা না দেয়া হয়নি বরং বিভিন্ন উপায়ে অর্থ সংগ্রহ করলেও বিদ্যালয় কোষাগারে জমা না করে নিজেরাই তা ভোগ করেছেন। 
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত শিক্ষক, ছাত্র ও অভিভাবকরা অভিযোগ করে বলেন প্রশাসনের বিভিন্ন স্থানে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎসহ নানা অনিয়মের বিষয় উলে­খ করে লিখিত দেওয়া হয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় তাদের দু’জনকে পুর্ণবাসনে চেষ্টা চলছে। প্রতিষ্ঠানকে রক্ষায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদেরকে নিয়ে প্রশাসনের অভ্যন্তরে ঘাপতি মেরে থাকা মদদ দাতাদের বিরুদ্ধে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে সংবাদ সম্মেলনে হুঁশিয়ারী দিয়েছেন ছাত্র ও অভিভাবকরা।