খুলনা | বৃহস্পতিবার | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৪ আশ্বিন ১৪৩১

ক্ষমতার দাপটের উৎস্য কোথায়

নিজস্ব প্রতিবেদক |
০২:৫১ এ.এম | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪


এস এম কামরুজ্জামান সোনাডাঙ্গা থানায় ওসি বদলী হওয়ার পর জঙ্গি ধরার নামে জামায়াত নেতা সাবেক এমপি আল­ামা দেলাওয়ার হোসাইনের দারুল কুরআন কামিল মাদ্রাসায় কয়েকবার অভিযান চালিয়ে মাদ্রাসার হোস্টেল থেকে এতিম, মাদ্রাসা ছাত্র ও শিক্ষকদের গ্রেফতার করে এনে থানায় নির্যাতন চালান। এ সময় ওসি কামরুজ্জামান ছিলেন, এক মূর্তিমান আতঙ্ক। তিনি নিজেকে বাগেরহাট জেলার রামপাল থানার বাসিন্দা হয়ে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ও খুলনা মহানগর আ’লীগের সভাপতি (বর্তমানে পলাতক) তালুকদার আব্দুল খালেকের ভাগ্নে বলে পরিচয় দিতেন। দুই জনের বাড়ি একই উপজেলায় হওয়ায় অনেক আওয়ামী লীগ নেতাও সেটি বিশ্বাস করতেন। এরপর সহকারী পুলিশ কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তিনি কেএমপি’র উত্তর জোন, আদালতের প্রসিকিউশন শাখায় কর্মরত ছিলেন। সর্বশেষ তিনি কেএমপি’র গোয়েন্দা শাখায় কর্মরত থাকলেও গত ৫ আগস্টের পর থেকে তাকে আর জনসম্মুখে দেখা যায় না। কেএমপি’র উত্তর জোনে থাকার আগে তিনি কিছু দিন নগরীর খানজাহান আলী থানার ওসি ছিলেন। উভয় সময় তিনি ওই এলাকার আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুব লীগ ও সন্ত্রাসী এবং মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ওঠা-বসা করতেন ওপেন সিক্রেট। খুলনার খানজাহান আলী থানার মশিয়ালীতে আলোচিত দিন-দুপুরে ট্রিপল মার্ডার মামলার আসামি ছাত্রলীগ নেতার সঙ্গে একাধিক ছবি তোলে আলোড়ন সৃষ্টি করেন।
তাছাড়া বৈষম্য ছাত্র আন্দোলনে নেপথ্য ভূমিকা পালন করেন এই পুলিশ কর্মকর্তা। ২ আগস্ট খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে ছাত্র-জনতার সাথে পুলিশের সংঘর্ষ চলাকালে গল­ামারী এলাকায় অবস্থান নেন এস এম কামরুজ্জামান। তিনি অবসরে থাকলেও বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দেন সেই সময়ের কর্মরত পুলিশ সদস্যকে। অভিযোগ রয়েছে তখন ছাত্র-জনতার ওপর গুলি করতে উৎসাহ দেন সাবেক এ কর্মকর্তা।