খুলনা | রবিবার | ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৮ পৌষ ১৪৩১

কয়রায় তুচ্ছ ঘটনায় আনোয়ার শেখ হত্যা একজনের যাবজ্জীবন, বেকসুর খালাস ১২

নিজস্ব প্রতিবেদক |
০৪:২৫ পি.এম | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪


খুলনা জেলার কয়রা থানাধীন আনন্দনগর গ্রামে গরুতে তরমুজ গাছ খাওয়াকে কেন্দ্র করে আনোয়ার শেখ হত্যা মামলায় মেহেদী হাসান মোল­া (৩৯)-কে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত।  মঙ্গলবার দুপুরে খুলনার জননিরাপত্তা বিঘœকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোঃ জুয়েল রানা এ রায় ঘোষণা করেছেন। 
এ মামলার অপর ১২ আসামিকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে। খালাসপ্রাপ্তরা হলেন মিসকাত হাসান মোল­া, মেজবা হাসান মোল­া, মোঃ শফিকুল মোল­া, মোঃ আইয়ুব আলী মোল­া, মোঃ আলমগীর মোল­া, মোঃ সোলায়মান মোল­া, মোঃ ইমরান মোল­া, মোঃ ইউনুস মোল­া, মোঃ আনিচুর রহমান মোল­া, মোঃ জাকির গাজী, হাসান গাজী ও মোঃ বোরহান উদ্দিন খান। রায় ঘোষণাকালে সকল আসামি আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। সকল আসামি খুলনা জেলার কয়রা থানাধীন আনন্দনগর গ্রামের বাসিন্দা। 
আদালতের উচ্চমান বেঞ্চ সহকারী মোঃ ছায়েদুল হক শাহিন নথীর বরাত দিয়ে জানান, ২০২০ সালের ২৯ মার্চ বেলা ১২টার দিকে কয়রা থানাধীন আনন্দনগর গ্রামের মোঃ মুক্তার শেখের গরু বোরহান খানের তরমুজ ক্ষেতে ডুকে গাছ খায়। এ নিয়ে মুক্তার শেখের ভাই ইকতার ও বোরহানের কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। বোরহান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হলে তাকে দেখতে যায় মুক্তার ও ইকতারসহ অন্যান্যরা। এ সময় বোরহান তার লোকজনকে বলে সবাইকে শেষ করে দে। একথা শুনে মুক্তার ও ইকতারসহ অন্যান্যরা হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়। বিকেল ৫টার দিকে মেহেদী হাসান মোল­ার নেতৃত্বে সকল আসামিরা দা, শাবল, রড ও লাঠিসহ ইকতার শেখের বাড়িতে প্রবেশ করে ভাঙচুর চালায় এবং আগুন ধরিয়ে দেয়। আগুন নেভাতে এগিয়ে আসলে আনোয়ার শেখের মাথায় লোহার রড দিয়ে বাড়ি মারে মেহেদী হাসান এবং অন্যরা মারপিট করে। তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে এঘটনা নিয়ে বেশী বাড়াবাড়ি করলে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসামিরা চলে যায়। মারাত্মক আহত অবস্থায় আনোয়ার শেখকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং ঢাকায় নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আনোয়ার শেখ মারা যায়। 
এ ঘটনায় নিহত আনোয়ার শেখের ভাই মোঃ মুক্তার শেখ বাদী হয়ে দাকোপ থানায় মামলা দায়ের করেন (নং-১)। ২০২১ সালের ৩১ মে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জয়ন্ত কুমার হোড় আদালতে ১৩ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। আদালত ২৪ সাক্ষীর মধ্যে ১৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের কৌশুলী ছিলেন আরিফ মাহমুদ লিটন। আসামিপক্ষে ছিলেন এড. এম এম মুজিবুর রহমান।