খুলনা | শুক্রবার | ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৪ আশ্বিন ১৪৩১

র‌্যাবের হেলিকপ্টারে করে সিলেট থেকে ঢাকায়

অনুপ্রবেশ চেষ্টার মামলায় জামিন পেলেন মানিক, অন্য মামলায় কারাগারে

খবর প্রতিবেদন |
০১:৫৪ এ.এম | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪


অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে (৭৪) সিলেট থেকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেল চারটার দিকে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাঁকে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে র‌্যাবের হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় নেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মোঃ সাখাওয়াত হোসেন।
এর আগে মঙ্গলবার সকালে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে ভারতে অবৈধ ভাবে প্রবেশ চেষ্টার অভিযোগে করা মামলায় জামিন মঞ্জুর করেন। জামিন পাওয়ার পর সকালেই তাঁকে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে হস্তান্তর করা হয়।
সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মোঃ সাখাওয়াত হোসেন বলেন, এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে ঢাকায় একাধিক মামলা রয়েছে। সেসব মামলায় বুধবার তাঁকে হাজির করার কথা রয়েছে। সে জন্য মঙ্গলবার বিকেল চারটার দিকে তাঁকে ঢাকার কেরানীগঞ্জে কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তরের জন্য নিয়ম অনুযায়ী পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
সিলেট জেলা পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক সিলেটের মামলায় জামিন পেয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে ঢাকায় একাধিক মামলা থাকায় পুলিশি নিরাপত্তায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। সড়কপথে নিরাপত্তার বিষয়টি চিন্তা করে তাঁকে হেলিকপ্টারে করে পাঠানো হয়েছে।
ওই কর্মকর্তা বলেন, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে নিরাপত্তা দিয়ে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে বিকেল সাড়ে চারটা থেকে পৌনে পাঁচটার মধ্যে র‌্যাবের হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় নেওয়া হয়। তাঁকে প্রথমে ঢাকার পুরোনো বিমানবন্দরে এবং সেখান থেকে নিরাপত্তা দিয়ে কেরানীগঞ্জের কারাগারে প্রেরণ করার কথা রয়েছে।
অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টার অপরাধে সিলেটের কানাইঘাট থানার মামলায় জামিন পেলেও অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের বিরুদ্ধে দেশের অন্যান্য স্থানে মামলা থাকায় কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। জামিন পেলেও মুক্ত হতে পারেননি তিনি। মঙ্গলবার সকালে সিলেটের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক অঞ্জন কান্তি দাস তার জামিন মঞ্জুর করেন। 
এর আগে গতকাল সকালে সিলেটের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন আবেদন করেন মানিক। শুনানি শেষে আদালতের বিচারক অঞ্জন কান্তি দাশ এক টাকা জরিমানা আদায়ের মাধ্যমে তাকে জামিন দেন। তবে তার বিরুদ্ধে ঢাকায় বিভিন্ন অপরাধে সহায়তার জন্য একাধিক মামলা রয়েছে। সেসব মামলায় শোন অ্যারেস্ট দেখিয়ে মানিককে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। সিলেট আদালতে নিযুক্ত পুলিশ পরিদর্শক (কোর্ট পরিদর্শক) জমসেদ আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।  
রাজধানী ঢাকায় তার বিরুদ্ধে দায়ের মামলায় মানিককে শোন এ্যারেস্ট (গ্রেফতার) দেখানো হয়েছে। সেজন্য সিলেটের কারাগার থেকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হবে তাকে।
এর আগে সকালে শামসুদ্দিন মানিককে সেনা, পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পাহারায় সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কঠোর নিরাপত্তা দিয়ে আদালতে হাজির করা হয়। তার বিরুদ্ধে রোববার (২৫ আগস্ট) রাতে সিলেটের কানাইঘাট থানা পুলিশ বাদী হয়ে পাসপোর্ট ও ভিসা ব্যতীত ভারতে প্রবেশের চেষ্টার অপরাধে মামলা করে।
এর আগে ২৩ আগস্ট রাতে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার ডোনা সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে একটি জঙ্গল থেকে স্থানীয় কয়েকজন যুবকের সহায়তায় আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। পরদিন ২৪ আগস্ট  সকালে তাকে কানাইঘাট থানায় হস্তান্তর করা হয়। পুলিশ তাকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে হাজির করেন। পরে বিচারক মানিককে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।