খুলনা | রবিবার | ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৮ পৌষ ১৪৩১

দিঘলিয়ায় মালিকানা জমি সরকারি খাস খতিয়ানে জমি থেকে গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক |
০৬:২৭ পি.এম | ০১ অক্টোবর ২০২৪


খুলনার দিঘলিয়ায় ডকইয়ার্ড-এর সংলগ্ন এলাকার জমির কিছু অংশ সরকারি খাস খতিয়ানে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। সেই জমি থেকে সরকারি অনুমতি ছাড়াই গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে একই এলাকার সাদিক শেখ, রুহুল শেখ ও মরিয়ম বেগমসহ বেশ কিছু ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে খুলনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন এস এম এ মতিন (নং-সি আর ১৪২/২৪)। এছাড়াও বেশ কিছু প্রশাসনিক দপ্তরে দেয়া হয়েছে অভিযোগ। 
মামলার ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ১৯৬৭ সাল থেকে দিঘলিয়া মৌজার ডকইয়ার্ড পার্শ্ববর্তী ১১৭ শতাংশ জমি ভোগ দখল করে আসছেন এস এম এ মতিন ও তার পরিবার। সেখানে মৎস্য চাষ ও বৃক্ষ রোপণ করে ভোগ দখলে ছিলেন তারা। তবে উক্ত জমির মধ্যে ১১ ও ২১ শতাংশ জমি সরকারি খাস খতিয়ানে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এ বিষয়ে প্রশাসনিক ভাবে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। তবে এরই মধ্যে উক্ত সম্পত্তি নিজেদের বলে দাবি করে একই এলাকার সাদিক শেখ, রুহুল শেখ ও মরিয়ম বেগমসহ তাদের পরিবারের সদস্যরা। 
গত ৬ সেপ্টেম্বর সকালে সাদিক শেখ, রুহুল আমিন, মরিয়াম বেগম, আজাদ, রফিকুল ইসলাম, শফি, রাব্বি, অলিয়ার রহমান পটলসহ অজ্ঞাত আরো ৭-৮ জন ১০টি মেহগনি গাছ কেটে ফেলে। তার বাজার মূল্য প্রায় ১০ লাখ টাকা। এ ঘটনায় বাধা দিতে গেলে মামলার বাদী এস এম এ মজিদকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও দেশিয় অস্ত্র দিয়ে হুমকিসহ মারতে উদ্যত হয় আসামিরা। পরবর্তিতে দিঘলিয়া থানায় মামলা দিতে না পেরে কোর্টে এসে মামলা দেন তিনি। একই সাথে সেই জমিতে ১৪৪ ধারা জারি করিয়ে আনা হয়। তা সত্তে¡ও আসামিরা রাতের আঁধারে কেটে রাখা গাছ গুলো আবারো বিক্রি করার চেষ্টা করে। 
এদিকে অভিযুক্ত সাদিক শেখ বলেন, এই জমি তাদের নানার এ্যাওজবদল করা সম্পত্তি। সেই জমি সরকারি খাস খতিয়ানে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিলো। তবে মামলার মাধ্যমে আমরা আবারো জমির মালিকানা ফিরে পেয়েছি। 
তবে সাদিক শেখের কথা সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে দাবি করেন মামলার বাদী এস এম এ মতিন। তিনি বলেন, তাদের জমির দাগ নম্বর সম্পূর্ণ আলাদা। আমার জমি সরকারি খতিয়ানে গেছে। তা নিয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলমান আছে। এখনো পর্যন্ত এ জমি সরকারের খাস খতিয়ানে রয়েছে বলে জানান তিনি। 
সরকারি খাস খতিয়ান ভুক্ত কোনো জমি থেকে গাছ কাটার ঘটনা ঘটলে সে বিষয়ে মামলা দায়ের করা হবে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খান মাছুম বিল­াহ।