খুলনা | সোমবার | ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১৬ পৌষ ১৪৩১

সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড তদন্তে গঠিত টাস্কফোর্সকে সহায়তায় প্রস্তুত র‌্যাব

খবর প্রতিবেদন |
০২:১৫ পি.এম | ০২ অক্টোবর ২০২৪


সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যাকাণ্ড নিয়ে ১২ বছরের অধিক সময় ধরে তদন্ত করছিল র‌্যাব। দফায় দফায় তদন্ত রিপোর্ট আদালতে জমা দেওয়ার তারিখ পেছায়। সর্বশেষ মামলাটি এলিট ফোর্সটির হাত থেকে নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বিভিন্ন সংস্থার অভিজ্ঞ, যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের সমন্বয়ে গঠিত টাস্কফোর্সের মাধ্যমে তদন্তের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এই টাস্কফোর্সকে সহায়তা করতে প্রস্তুত আছে বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

আজ বুধবার (০২ অক্টোবর) দুপুরে কারওয়ান বাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস।

সাগর-রুনির মামলা তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বিগত সরকারের কোনো চাপ ছিল কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে র‌্যাবের মুখপাত্র বলেন, তদন্তের জন্য আরও অভিজ্ঞদের দিয়ে টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে।

সাগর-রুনির মামলা তদন্ত করতে র‌্যাব ব্যর্থ কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস বলেন, তদন্তটি আরও বেগবান করার জন্য হাইকোর্ট মনে করেছেন আরও অভিজ্ঞ লোক দরকার যারা এ ধরনের কাজে পারদর্শী তাদেরকে অন্তর্ভুক্ত করে টাস্কফোর্স গঠন করতে বলা হয়েছে। এতে যদি র‌্যাবের কোনো সহায়তা লাগে আমরা যেকোনো ধরনের সহায়তা করতে প্রস্তুত আছি।

গত সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যার মামলার তদন্তের দায়িত্ব থেকে র‌্যাবকে সরিয়ে দেন আদালত। বিচারপতি ফারাহ মাহবুবের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে এ নিয়ে করা রিটটির শুনানি হয়।

এদিন হাইকোর্ট বলেছেন, এ হত্যাকাণ্ডের তদন্তভার থেকে র‌্যাবকে সরানো হলো। এটি পাঠানো হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে, বিভিন্ন সংস্থার অভিজ্ঞ, যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের সমন্বয়ে গঠিত টাস্কফোর্সের মাধ্যমে তদন্ত করাতে পারবে সরকার।

সাগর-রুনি হত্যার পর কেটে গেছে এক যুগেরও বেশি সময়। কিন্তু এ হত্যা রহস্যের কোনো কূলকিনারা করতে পারেনি কোনো সংস্থাই। পুলিশ, সিআইডির একের পর এক হাতঘুরে মামলার তদন্তভার র‌্যারের কাছে গেলেও নেই কোনো অগ্রগতি। ১১৩ বার পিছিয়েছে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময়।

গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর আশার আলো দেখতে শুরু করেছেন মামলার বাদি রুনির ভাই নওশের রোমান। নিয়োগ দিয়েছেন আইনজীবীও।

নতুন নিয়োগ পাওয়া আইনজীবী শিশির মনির জানান, আন্তুরিকভাবে কাজ করলে এতদিনে বের হয়ে আসতো হত্যা রহস্য।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে নিজ বাসা থেকে সাগ-রুনির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সবশেষ তদন্তে বাসা থেকে অজ্ঞাত দুই ব্যক্তির ডিএনএ আলামত মিললেও শনাক্ত করা যায়নি খুনিদের।