খুলনা | রবিবার | ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৮ পৌষ ১৪৩১

সামান্থার সঙ্গে ডিভোর্স নিয়ে মন্ত্রীর মন্তব্য, সতর্ক করলেন নাগা

খবর বিনোদন |
০২:১৩ পি.এম | ০৩ অক্টোবর ২০২৪


বলিউড অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভু ও অভিনেতা নাগা চৈতন্য দীর্ঘ চার বছর সংসার করার পর বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। ২০২১ সালে তাদের বিচ্ছেদ হয়। আর তাদের এ বিচ্ছেদের মূল কারণ ছিল— সম্পর্কে তৃতীয় ব্যক্তির আগমন।

এদিকে তেলেঙ্গানার বন ও পরিবেশমন্ত্রী কোনডা সুরেখা দাবি করেছেন— সামান্থা ও নাগার বিচ্ছেদের পেছনে রয়েছে এক সুগভীর রাজনৈতিক চক্রান্ত। এবার তা নিয়ে মুখ খুললেন অভিনেতা নাগা চৈতন্য। রাজনীতিবিদকে তার মিথ্যা অভিযোগ প্রত্যাহার করার আহ্বান জানিয়েছেন এ অভিনেতা।

এদিকে অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভুও সুরেখার উদ্দেশে বলেছেন— তিনি যেন একজন নারী হিসেবে অন্য কোনো নারীর সম্মানহানি না করেন।

অবশেষে সামান্থার সঙ্গে তার বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে একটি আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিলেন নাগা চৈতন্য। তিনি সামাজিকমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন— বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত জীবনের সবচেয়ে বেদনাদায়ক এবং দুর্ভাগ্যজনক একটি সিদ্ধান্ত, যা একজনকে নিতে হয়। অনেক চিন্তাভাবনার পর, আমি এবং আমার সাবেক স্ত্রীর বিচ্ছেদের জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম আলোচনার ভিত্তিতে। তবে এ পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন ভিত্তিহীন এবং সম্পূর্ণ হাস্যকর গসিপ তৈরি হয়েছে। আমি আমার পূর্বের স্ত্রীর এবং সেইসঙ্গে আমার পরিবারের প্রতি গভীর শ্রদ্ধার কারণে এই সমস্ত কিছু নিয়ে নীরব রয়েছি। আজ মন্ত্রী কোনডা সুরেখা গেরুর যে দাবি করা হয়েছে তা কেবল মিথ্যাই নয়, এটি একেবারেই হাস্যকর এবং অগ্রহণযোগ্য। নারীরা সমর্থন ও সম্মান পাওয়ার যোগ্য। মিডিয়ার শিরোনামের জন্য সেলিব্রিটিদের ব্যক্তিগত জীবনের সিদ্ধান্তের সুবিধা নেওয়া এবং শোষণ করা লজ্জাজনক।

সম্প্রতি তেলেঙ্গানার বন ও পরিবেশমন্ত্রী কোনডা সুরেখা দাবি করেছেন— সামান্থা ও নাগার বিচ্ছেদের পেছনে রয়েছে এক সুগভীর রাজনৈতিক চক্রান্ত।

মন্ত্রী আরও বলেন, এই চক্রান্তের পেছনে হাত ছিল তৎকালীন মন্ত্রী কেটি রামা রাওয়ের। এক রাজনৈতিক সভায় দেওয়া বক্তব্যেই এমনটি দাবি করেন কোনডা সুরেখা।

বনমন্ত্রী বলেন, কেটি রামা রাওয়ের জন্যই সামান্থার বিচ্ছেদ হয়েছে। উনি তৎকালীন সময়ে মন্ত্রী ছিলেন। বিভিন্ন অভিনেত্রীর ফোনে আড়িপাতা তার কাজ ছিল। সেই আড়ি পেতে অভিনেত্রীদের হাঁড়ির খবর খুঁজে বের করতেন তিনি। এরপর সেই গোপন তথ্য পাওয়ার পর অভিনেত্রীদের ব্ল্যাকমেইল করতেন! অভিনেত্রীদের মাদকের নেশা ধরাতে একপ্রকার বাধ্য করতেন। যে কারণে সংসার জীবনে বিচ্ছেদের পথে হাঁটা ছাড়া তাদের আর কোনো গতি থাকত না। এ কথা সবাই জানেন। সামান্থা জানে, নাগা চৈতন্য জানে, তাদের বাড়ির লোক জানে বলে জানান কোনডা সুরেখা।

তেলেঙ্গানার বনমন্ত্রীর মুখে এ কথা শুনে ঝড় উঠেছে সামাজিকমাধ্যমে। নেটিজেনদের তীব্র নিন্দার সম্মুখীন হতে হচ্ছে কোনডা সুরেখাকে। তেলেঙ্গানার বনমন্ত্রীকে নিন্দা জানিয়ে পালটা জবাব দিয়েছেন খোদ সামান্থা নিজেও।

সামাজিকমাধ্যমে একটি পোস্ট করেছেন এ অভিনেত্রী। সামান্থা পরিষ্কার ভাষায় জানিয়েছেন— তার ব্যক্তিগত জীবনকে যেন রাজনীতির আখড়ায় না টানা হয়।

এ অভিনেত্রী আরও বলেন, আমার বিবাহবিচ্ছেদের ঘটনা অত্যন্ত ব্যক্তিগত। এ বিষয়টি সম্পর্কে কোনো রকম মন্তব্য করা থেকে দয়া করে দূরে থাকুন। ব্যক্তিগত বিষয়ে নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলি না মানে এই নয়— সে বিষয়ে যা তা যে কেউ বলতে পারবেন।

তিনি বলেন, আমি পরিষ্কার করে জানিয়ে দিতে চাই— এই বিচ্ছেদ ছিল দুটি মানুষের যৌথ ভাবনার ফসল। এর সঙ্গে কোনো রকম রাজনীতি জড়িয়ে নেই।

এরপর মন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে সামান্থা বলেন, ‘আর কোনডা সুরেখা একটা কথা বলি— আপনি নিশ্চয়ই জানেন, একজন রাজ্যের মন্ত্রী হওয়ার সুবাদে আপনার কোনো বক্তব্য অথবা মন্তব্য সমাজে কতটা ছাপ ফেলতে পারে। এ অভিনেত্রী বলেন, আপনাকে মনে করিয়ে দিতে চাই— অন্যদের ব্যক্তিগত বিষয় ও জীবনের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করুন। অন্যদের ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে একটু দায়িত্বশীল হন।

যদিও ইতোমধ্যে নিজের বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন বনমন্ত্রী কোনডা সুরেখা। তিনি বলেছেন, ‘আমার উদ্দেশ্য ছিল একজন নেতা কীভাবে নারীর প্রতি অবজ্ঞা করছে, তা বোঝানো। কিন্তু আপনার অনুভূতিতে আঘাত করা নয়, সামান্থা। আপনি যেভাবে নিজের দ্বারা দ্রুতগতিতে বেড়ে উঠেছেন, তার আমি প্রশংসা করি। যদি আপনি বা আপনার ভক্তরা আমার কথায় আঘাত পেয়ে থাকেন, আমি নিঃশর্তভাবে তা প্রত্যাহার করছি। দয়া করে অন্যথায় নেবেন না।