খুলনা | শনিবার | ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৭ পৌষ ১৪৩১

অর্থনীতির সব সূচক ইতিবাচক প্রয়োজন রাজনীতিতে স্থিতিশীলতা

|
১২:০৯ এ.এম | ০৫ অক্টোবর ২০২৪


দেশের অর্থনীতির সব সূচকই এখন ইতিবাচক। ড. ইউনূছের জাতিসংঘ মিশন সফলতার পথে। ৫ আগস্টের পূর্বের অবস্থা এবং বর্তমান অবস্থা এক নয়। দেশ এখন ব্যবসা বাণিজ্যে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। সংস্কার উদ্যোগ শুরু হয়েছে। তবে প্রয়োজনীয় সংস্কার ঠিকমতো করতে না পারলে বিপদের শংকা রয়েছে। রেমিট্যান্স বাড়ছে, পোশাক কারখানার উৎপাদন স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। ব্যাংক খাত সংস্কার কার্যক্রম শুরু হয়েছে জোরালোভাবে। এতে আস্থার মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে সামস্টিক অর্থনীতির সুচকগুলো ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) জানিয়েছে আগস্ট মাসের তুলনায় সেপ্টেম্বরে সার্বিক মুল্যস্ফীতি কমেছে ০.৫৭ শতাংশ। বিবিএস জানায় আগস্টে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ১০.৪৯ শতাংশ, যা সেপ্টেম্বরে কমে দাঁড়িয়েছে ৯.৯২ শতাংশ। এছাড়া খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ১০.৪০ শতাংশ যা আগস্ট মাসে ছিল ১১.৩৬ শতাংশ। তাছাড়া জুলাই-এ ১৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি হয়েছিল।
জুলাই-আগস্টে দেশে ৪৫ কোটি ৮২ লাখ ডলার বিদেশী ঋণ এসেছে। তবে ঋণ পরিশোধ করতে হয়েছে ৫৮ কোটি ৯২ লাখ ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ বাড়তে শুরু করেছে। ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বৈদেশিক মুদ্রার গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৪.৫২ বিলিয়ন ডলার। যা গত বছরে একই সময় ছিল ২১.৫৮ বিলিয়ন ডলার।
বলা বাহুল্য প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব গ্রহণের পর বিশ্ব ব্যাংক, আই এম এফ, এডিবিসহ সব উন্নয়ন সহযোগি বাংলাদেশকে সহযোগিতা বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়েছে। বাংলাদেশ সংস্কারের বিষয়ে জাতিসংঘ বাংলাদেশের পাশে থাকবে। যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশেরে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সমর্থন এবং পাশে দাঁড়িয়েছে। পাকিস্তান এবং নেপালও বর্তমান সরকারের সব ধরণের সহায়তার কথা বলেছে। কেবল ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ হয়নি। তবে ভারতীয় কর্মকর্তারা বর্তমান সরকারের বিষযে ৩টি উদ্বেগের কথা বলেছেন। দেশে ইসলাম পন্থীদের উত্থান, জঙ্গি কার্যক্রমের জন্য বন্দি মুক্তি পেয়েছে এবং সংখ্যালঘুদের নির্যাতনের কল্পিত অভিযোগ।
ধারণা করা যায়, বাংলাদেশের প্রতি ভারতের অভিযোগ ও মুখ ফিরিয়ে নেয়া সমালোচিত হওয়ায় নরেন্দ্র মোদী আসন্ন বিম্সটেক সম্মেলনে নভেম্বরে বৈঠকে বসবেন বলে খবর বেরিয়েছে। থাইল্যান্ডের এ সম্মেলনে মোদী-ইউনূস বৈঠক দু’দেশের মধ্যে ভেঙে পড়া সম্পর্ক মেরামত হবে বলে আশা করা যায়। বস্তুত ন্যায্যতার ভিত্তিতে সম্পর্ক গড়ে না উঠলে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের চেতনার সাথে তা হবে সাংঘর্ষিক। ৭১ সালের সহযোগিতাকে পূজি করে ভারত চিরকাল বৈষম্য জিয়িয়ে রাখতে পারবে না। বৈষম্য বিরাধী চেতনার সাথে এটাও সাংঘর্ষিক।