খুলনা | শনিবার | ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৭ পৌষ ১৪৩১

বিরাজনীতিকরণ চাই না, উদার গণতন্ত্র দেখতে চাই: মির্জা ফখরুল

খবর প্রতিবেদন |
০২:০৪ পি.এম | ০৫ অক্টোবর ২০২৪


কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন না হলে জাতি ব্যর্থ হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে সময় দিচ্ছি, সময় দেব। কিন্তু কতদিন? আমরা সেই পর্যন্ত সময় দেব, যতদিন যৌক্তিকভাবে সুষ্ঠু নির্বাচন করা যাবে। বিরাজনীতিকরণ দেখতে চাই না। মাইনাস টু দেখতে চাই না। জঙ্গিবাদ দেখতে চাই না। উদার গণতন্ত্র দেখতে চাই।

শনিবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটে শিক্ষক সমাবেশে এসব কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।

আওয়ামী লীগ দুইবার গণতন্ত্র হত্যা করেছে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ছাত্র-জনতার বিজয় ধরে রাখতে না পারলে সবকিছু ব্যর্থ হবে।

বিএনপির এই নেতা বলেন, বহু মানুষের রক্তের বিনিময়ে দেশে পরিবর্তন এসেছে। সাময়িক বিজয় হয়েছে, যা ধরে রাখতে হলে সুসংহত থাকতে হবে। এটা গুরুত্বপূর্ণ সময়। সরকার পরিবর্তন হওয়ায় এখন দলে দলে বেরিয়ে আসছেন। নানা দাবি নিয়ে আসছেন। আর আগে জমি বিক্রি করে আওয়ামী লীগের এমপিদের কাছে চাকরির জন্য টাকা দিয়েছেন। দেশ পরিবর্তন না করতে পারলে জাতি চরমভাবে হতাশ হবে।

শিক্ষকদের চাকরি জাতীয়করণ করলে সমস্যার সমাধান হবে না উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের ছেলেরা যেভাবে লেখাপড়া শেষে পাস করে, তাতে একটি শুদ্ধ বাংলা লিখতে পারে না। শিক্ষা ব্যবস্থা এমন জায়গায় চলে গেছে, সে শিক্ষা ব্যবস্থায় জাতির উন্নয়নে যে হিউম্যান রিসোর্স দরকার, সেটা আমরা তৈরি করতে পারিনি।

তিনি বলেন, এখন পরিবর্তনের যে দ্বারা সৃষ্টি হয়েছে, তাতে যদি পরিবর্তন করতে না পারি সেটা জাতির জন্য চরম হতাশার। আগে শিল্প কারখানা সব জাতীয়করণ করা হয়েছিল কিন্তু সেটা আবার পুনরায় বেসরকারি খাতে ছেড়ে দিতে হয়েছে। শিক্ষকদের অনেকেই মনে করেন, এটা কেরানির চাকরির মতো। যারা একটি চাকরির জন্য আওয়ামী লীগ নেতাদের কয়েক লাখ টাকা দিয়েছেন। এটা কি ঠিক হলো? এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে অনেক দেরি করেছি আমরা।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছি কারণ তারা অত্যাচার-নির্যাতন করেছিল। যুদ্ধে গুলি করে লাখ-লাখ মানুষ মারা গিয়েছিল। পাকিস্তানি বাহিনী কি পরিমাণ নৃশংসতা চালিয়েছিল সেটা আমি জানি। আমি এটা বলতে পারি না। কারণ আমি নিজেও মুক্তিযুদ্ধ করেছি।

আওয়ামী লীগের শাসনকালে গণতন্ত্র ধ্বংস হয়েছিল দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, এখন আমরা সেখান থেকে বের হয়ে আসছি। সবাই বলছে আমাদের এ দাবি মানতে হবে, ওই দাবি মানতে হবে। আগে কিন্তু আমরা বের হতে পারিনি। আপনারা বলবেন, আমাদের বের হতে দেওয়া হয়নি। ছাত্রদেরও বাধ্য করা হয়েছিল চুপ থাকার জন্য। আমাদেরও বার বার জেলে পাঠানো হয়েছে কিন্তু তারপরও আমরা রুখে দাঁড়িয়েছি।

দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় এসে গেছে মনে করে হাওয়ায় যেন না ভাসি। না, ক্ষমতায় আসেনি। তাই ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

দুর্নীতির ভুত দূর করার কথা জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, না হলে কোনো কিছুই করতে পারবে না। আমরা ব্যর্থ হয়নি, আগেও জয়ী হয়েছি, এবারও জয়ী হব।

আওয়ামী লীগ নানা চক্রান্তের বেড়াজালে শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ৫৩ বছর পরও এখন দেশের সবচেয়ে দুর্বল জায়গা শিক্ষাব্যবস্থা।