খুলনা | শনিবার | ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৭ পৌষ ১৪৩১

খুলনা জেলার ৭৪০ পূজামন্ডপের ১৫৭টি অধিক গুরুত্বপূর্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক |
০২:১১ এ.এম | ০৯ অক্টোবর ২০২৪


খুলনার পুলিশ সুপার টিএম মোশাররফ হোসেন বলেছেন, নতুন বাংলাদেশে সাংবাদিক এবং পুলিশ একসঙ্গে কাজ করব। আমাদের কাজের ধরণ ভিন্ন হলেও উদ্দেশ্য কিন্তু এক। পুলিশিং সেবা জনগণের দৌড় গোড়ায় পৌঁছে দিতে প্রস্তুত আছি। মঙ্গলবার দুপুরে খুলনা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে শারদীয় দুর্গাপূজার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পুলিশ সুপার বলেন, এবারের দুর্গা উৎসবে খুলনা জেলা পুলিশের তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। ৯৬৫ জন পুলিশ সদস্য কাজ করছেন। সংখ্যা আরও বাড়বে। নিরাপত্তায় ডিবির টিম, থানা পুলিশ, সাইবার মনিটরিং আছে। এছাড়া সাদা পোশাকে এবং যৌথবাহিনীর সঙ্গেও নিরাপত্তায় কাজ করা হচ্ছে। যেখানে যেখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া দরকার সেখানেই নেওয়া হয়েছে। পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি জানান, খুলনার ৯ উপজেলায় এবার ৭৪০টি পূজামন্ডপে দুর্গা উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। এসব পূজামন্ডপকে তিন ভাগে ভাগ করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এরমধ্যে অধিক গুরুত্বপূর্ণ পূজামন্ডপ রয়েছে ১৫৭টি। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ ২৪৬টি এবং সাধারণ পূজামন্ডপ ৩৩৭টি।
স¤প্রতি দাকোপে মন্ডপে চাঁদা চেয়ে উড়ো চিঠি দেওয়ার বিষয়ে পুলিশ সুপার বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি জিডি করা হয়েছে। আমাদের ফোকালপয়েন্ট অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) সুশান্ত সরকার সেখানে গিয়ে কমিটির সঙ্গে কথা বলেছেন। ওই পুজা মন্ডপগুলোকে আমরা অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে নিয়ে অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করেছি।
তিনি বলেন, আমাদের কোন বিষয়ে কোন আশঙ্কা নেই। আশঙ্কা থাকুক আর নাই থাকুক আমরা সব বিষয়ে সতর্ক আছি। আসন্ন সারদীয় দুর্গা উৎসব সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আমাদের নিরাপত্তা পরিকল্পনা সাজিয়েছি।
এসপি বলেন, ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অনেক যাচাই-বাছাই করেই আমাদেরকে পাঠিয়েছেন। এটা আমাদের জন্য একটি গুরু দায়িত্ব। পুলিশ ক্লিয়ারেন্স নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দেওয়ার চেষ্টা করব। এখানে কোন রকম উৎকোচ গ্রহণ, দালাল, কারও মাধ্যমে আসা না লাগে সেটি আমি বলে দিয়েছি। ৫ আগস্ট একটি বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে। পুলিশ একটা সময়ে ইনএকটিভ ছিল, এখন অনেকটা স্বাভাবিক হয়েছে।
মতবিনিময় সভায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) তানভীর আহমদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ক্রাইম এন্ড অপস্ (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) সুশান্ত সরকার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) আতিকুল ইসলাম এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।