খুলনা | সোমবার | ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১৬ পৌষ ১৪৩১

সীমান্ত হত্যা বন্ধ ও দোষীদের শাস্তি চেয়ে ভারতকে চিঠি

খবর প্রতিবেদন |
১১:০৬ পি.এম | ০৯ অক্টোবর ২০২৪


সীমান্তে বাংলাদেশের নাগরিকদের প্রায়ই গুলিতে হত্যা করে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফ। বছরের পর বছর এই হত্যাকাণ্ড চলে এলেও জোরালো কোনো প্রতিবাদ জানানো হয়নি। তবে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সীমান্তে আর কোনো নাগরিকের মৃত্যু দেখতে চায় না। সেজন্য গত দুই মাসে সীমান্তে ঘটা কয়েকটি হত্যাকাণ্ডের জোরালো প্রতিবাদ জানিয়েছে। এবার সম্প্রতি ঘটা একটি হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে ভারতকে আনুষ্ঠানিক চিঠি দিলো বাংলাদেশ।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনে দেওয়া চিঠিতে সীমান্ত হত্যাকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি বন্ধ করতে ভারত সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। পাশাপাশি সব কটি সীমান্ত হত্যার ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির আওতায় আনার আহ্বান জানানো হয়েছে।

কুমিল্লার মো. কামাল হোসেন হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে বুধবার (৯ অক্টোবর) ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনে চিঠি পাঠানো হয়েছে। সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ৭ অক্টোবর ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার বাসিন্দা বাংলাদেশি নাগরিক মো. কামাল হোসেন নিহতের ঘটনায় আজ ভারত সরকারের কাছে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।

৭ অক্টোবর কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার গলিয়ারা দক্ষিণ ইউনিয়নের পাহাড়পুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে কামাল হোসেন প্রাণ হারান। ওই দিন সন্ধ্যায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চিঠিতে লিখেছে, সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার ব্যাপারে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের অব্যাহত আশ্বাসের পরও বিএসএফের হাতে এ ঘটনার পুনরাবৃত্তিতে বাংলাদেশ উদ্বেগ প্রকাশ করছে। বাংলাদেশ সরকার জোর দিয়ে বলেছে, সীমান্ত হত্যার এ ধরনের ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত ও অযাচিত। এ ধরনের কর্মকাণ্ড দুই দেশের সীমান্তরক্ষীদের জন্য বাংলাদেশ-ভারত যৌথ নির্দেশিকা-১৯৭৫–এর লঙ্ঘন। বাংলাদেশ সরকার ভারত সরকারকে এ ধরনের জঘন্য কর্মকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি বন্ধ করতে এবং সব সীমান্ত হত্যাকাণ্ডের তদন্ত পরিচালনা করার পাশাপাশি দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে তাদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানায়।

সীমান্ত হত্যার মতো জঘন্য কর্মকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি বন্ধ করতে এবং সব সীমান্ত হত্যাকাণ্ডের তদন্ত পরিচালনা করার পাশাপাশি দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে তাদের বিচারের আওতায় আনতে বাংলাদেশ সরকার ভারত সরকারকে আহ্বান জানিয়েছে বলে উল্লেখ করা হয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে।