খুলনা | সোমবার | ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১৬ পৌষ ১৪৩১

সিন্ডিকেটের দোহাই নয়, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে টাস্কফোর্সকে কঠোর হতে হবে

|
১২:২২ এ.এম | ১০ অক্টোবর ২০২৪


নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য এখন লাগামহীন, সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। অতি সাম্প্রতিক সরকার দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আনতে টাস্কফোর্স গঠন করেছে। পরিস্থিতি সামলাতে সরকারকে জনবান্ধব হওয়ার বিকল্প নেই। নির্বাচনের জন্য সরকার যে সংস্কার কমিশনে হাত দিয়েছে তাকে সফলতার মুখ দেখতে হলে কেবল আইন-শৃঙ্খলা নয় জনজীবনে গতি স্বাভাবিক ও স্বচ্ছল হতে হবে। মূল্য নিয়ন্ত্রণে বার বার ব্যর্থতা সাধারণ মানুষ মেনে নেব না। ইলিশ প্রসংগ বড় কিছু নয়, নিত্য প্রয়োজনীয় তরি তরকারীতে আগুন দাম। সাধারণ মানুষের জীবন অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। ভেতরে ভেতরে গণ অসন্তোষ বাড়ছে।
বাজার পরিস্থিতি ও সরবরাহ তদারকীতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন জারী মানুষকে সন্তুষ্ট করতে পারবে না। টাস্কফোর্সের আহবায়ক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আর সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন ভোক্তা অধিকার দপ্তরের সহকারী পরিচালক। এর সদস্য হিসেবে আরো রয়েছেন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, জেলা প্রাণি ও মৎস্য কর্মকর্তা, ক্যাব ছাড়াও ২জন শিক্ষার্থী প্রতিনিধি। আমাদের বিশ্বাস শিক্ষার্থী প্রতিনিধি গতানুগতিক ছাড়াও বাজার মূল্য যৌক্তিক ও নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য বৈপ্লবিক ভূমিকা রাখবে। সরকারি প্রতিনিধিদের প্রতি জনগণের শিথিল আস্থা। বর্তমান সরকার শিক্ষার্থী ও জনতার আন্দোলনের ফসল। শিক্ষার্থী ও জনমনের বৈষম্যবিরোধী চেতনার সুফল শুধু নয় কঠোর প্রয়োগ বাজার মূল্য নিয়ন্ত্রণে কাজ করবে। সিন্ডিকেটের দোহাই পাড়লে পাবলিক শান্ত থাকবে না। সরকারকে স্মরণে রাখতে হবে বৃহৎ জনগোষ্ঠি ক্ষেপে উঠলে সংস্কারের স্বপ্ন পূরণ হবে না।
গ্রামীণ অর্থনীতি এখন নড়বড়ে। কিছু দিন আগে দেশের পূর্বাঞ্চলের ১১টি জেলায় বন্যায় বিপুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সিডিপি’র হিসেবে ১৪ হাজার ৪২১ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় দেশবাসীর সাড়াও অভূতপূর্ব হলেও ত্রাণ কার্যক্রমে সমন্বয়হীনতা সৃষ্টি হয়েছে। এখন আবার বন্যা শুরু হয়েছে সুনামগঞ্জে, শেরপুর, নেত্রকোনা ও গাইবান্ধায়। গ্রামীণ অর্থনীতির হাল দশা গোটা দেশের রাজনীতি, অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে টাস্কফোর্সকে বাজার, আড়ৎ, গোডাউন, কোল্ড স্টোরেজ মূল্য যৌক্তিক পর্যায়ে রাখার জন্য নিয়মিত নির্মোহ মনোভাবে পরিদর্শন ও তদারকী করতে হবে। উৎপাদন, পাইকারী ও ভোক্তা পর্যায়ে দামের পার্থক্য ভোক্তা পর্যায়ে নূন্যতম নিশ্চয়তা করতে হবে। জনজীবনে স্বস্তি এবং স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে সিন্ডিকেটকে দায়ি করলে মানুষ তা মেনে নেবে না।