খুলনা | মঙ্গলবার | ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১৯ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

যশোরে সেটেলমেন্ট অফিসের সাবেক কপিস্ট আতাউরের বিরুদ্ধে দুদকে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেক, যশোর |
১২:৩০ এ.এম | ১০ অক্টোবর ২০২৪


যশোর সেটেলমেন্ট অফিসের অবসরপ্রাপ্ত কপিস্ট মোঃ আতাউর রহমানের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বর্হিভ’ত ৪৬ লাখ ৬৮ হাজার ৭৪৬ টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে মামলা হয়েছে। যশোর জেলা দুর্নীতি দমন কমিশনের সমন্বিত অফিসে (দুদক)। আতাউর রহমান বর্তমানে শহরের নীলগজ্ঞ তাঁতীপাড়ার বাসিন্দা। তিনি মণিরামপুর উপজেলার বাংগালিপাড়ার আছির উদ্দিন মোড়লের ছেলে। 
আতাউর রহমানের স্ত্রী দিলরুবা পারভীন যশোর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্য পরিদর্শক পদে চাকুরিরত। তাদের  ছেলে ও একটি মেয়ে রয়েছে। দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক চিরঞ্জীব নিয়োগী বাদী হয়ে বুধবার দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয় যশোরে এই মামলা করেন।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত আতাউর রহমান ১৯৮৯ সালে ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের আওতায় যশোর জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসে যোগদান করেন। তিনি ২০২০ সালের এপ্রিলে পিআরএল এ যান। তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পাওয়ায় দুদুক ততার সম্পদের হিসেব চায়। এ প্রেক্ষিতে ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে তিনি নির্ধারিত ফর্মে স্থাবর অস্থাবর সম্পদের তালিকা দাখিল করেন। দাখিলকৃত বিবরণীতে যশোরে একটি ৪ তলা বাড়ি ও মণিরামপরে ৬টি দলিলে ১০০.১ শতক জমিসহ এক কোটি ৮ লাখ ১৩ হাজার টাকার স্থাবর এবং ৫ ভরি সোনা, ল্যাপটপ কম্পিউটার ৫৬ হাজার মোট  কোটি ৮ লাখ ৬৯ হাজার টাকার সম্পদের হিসেব দেখান। তবে দুদকের অনুসন্ধানে তার সম্পদের পরিমাণ পাওয়া যায় এক কোটি ১১ লাখ ৪৯হাজার ৫০৮ টাকা মূল্যের। তিনি ২০২২-২৩ আয় বর্ষে আয়কর রিটার্ণ ফর্মে মোট আয় এক কোটি ৩২ লাখ ১৯ হাজার ৬১৪টাকা দেখিয়েছেন। ওই সময় স্ত্রীকে জমি কেনা বাবদ ১০ লাখ টাকা দান ও টয়োটা গাড়ি কেনা বাবদ সাড়ে ১২ লাখ টাকা ব্যয়সহ ৫৬ লাখ ২৪ হাজার টাকা পারিবারিক ব্যয় দেখিয়েছেন। তিনি পিতার কাছ থেকে ৬ লাখ ও সোনার অলঙ্কার বিক্রি বাবদ ৫ লাখ ১৪ হাজার টাকা প্রাপ্তি দেখালেও তাঁর স্বপক্ষে কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেননি। স্ত্রীর কাছ থেকে ৯ লাখ এবং জমিবিক্রি বাবদ ১৬ লাখ টাকা আয়ের দাবি করলেও তারও প্রমাণ দেখাতে পারেননি।
এভাবে দুদকের অনুসন্ধানে দেখাগেছে তার নীট সম্পত্তি এক কোটি ১১ লাখ ৪৯ হাজার ৫০৮ টাকা কিন্তু খরচ বাদে তার সম্পদের পরিমাণ হওয়ার কথা ৬৪ লাখ ৮০ হাজার ৭৬২ টাকা। বাস্তবতা ও হিসেবে প্রদর্শিত সম্পদের পার্থক্য ৪৬ লাখ  ৬৮ হাজার ৭৪৬ টাকা, যা তিনি অবৈধ পন্থথায় আয় করে নিজেরর কাছে রেখেছেন। এই অবৈধ অর্থ ও সম্পদ উপার্জনের জন্যে তার নামে দুর্নীতি দমন কমিশনে মামলা হয়েছে বলে দুদক যশোরের উপ-পরিচালক মোঃ আল আমিন জানিয়েছেন।