খুলনা | শনিবার | ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৭ পৌষ ১৪৩১

শহিদ জেহাদ দিবস আজ

খবর প্রতিবেদন |
০১:৪০ এ.এম | ১০ অক্টোবর ২০২৪


শহিদ জেহাদ দিবস আজ। ১৯৯০ সালের ১০ অক্টোবর স্বৈরাচার বিরোধী গণআন্দোলনে রাজধানীর পল্টনে পুলিশের গুলিতে শহিদ হন নাজির উদ্দিন জেহাদ। আজ বৃহস্পতিবার তার ৩৪তম মৃত্যুবার্ষিকী।
দিবসটি উপলক্ষে এক বাণীতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, শহিদ জেহাদ নিজেকে উৎসর্গ করেছিলেন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে। তার আত্মদানে স্বৈরাচার এরশাদের পতন হয়। দিবসটি উপলক্ষে আজ দৈনিক বাংলা মোড়ে শহিদ জেহাদের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করবে বিএনপি। 
জেহাদ ১৯৬৯ সনের ৬ সেপ্টেম্বর সিরাজগঞ্জের উল­াপাড়া উপজেলার নবগ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। বাবা মৃত কে এম মাহমুদ এবং মা বছিরুন্নেছার পরিবারে ১০ সন্তানের মধ্যে জেহাদ ৯ম সন্তান।
মহাসমাবেশ পন্ড করতে পুলিশ ওই দিন বিকেল ৪টার দিকে লাঠিচার্জ করে এবং গুলি ছোঁড়ে। জেহাদ গুলি বিদ্ধ হলে ডাঃ মিলন তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নেবার পথে সে মারা যায়। পুলিশ তার লাশ ছিনিয়ে নেবার চেষ্টা করলেও ছাত্রদের তোপের মুখে তাদের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরদিন রাতে পুলিশ প্রহরায় তার গ্রামের বাড়িতে পাঠানো হয়। ১২ অক্টোবর সকালে জানাজা শেষে গ্রামের কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
নব্বইয়ের আন্দোলনের সময় জেহাদ স্থানীয় সরকারি আকবর আলী কলেজে বি এ শেষ বর্ষের ছাত্র ছিলেন। তিনি ছাত্রদলের কলেজ শাখার সভাপতি ও উপজেলা শাখার সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। নব্বইয়ের ১০ অক্টোবর বিএনপিসহ সাত দলীয় জোট রাজধানীর পল্টনে মহাসমাবেশের ডাক দিলে ছাত্রনেতা জেহাদ নিজ এলাকা থেকে ৬০ জন ছাত্র নিয়ে যোগ দেন সমাবেশে। এ কর্মসূচিতে পুলিশ নির্বিচারে গুলি করলে জেহাদ গুলিবিদ্ধ হন। পরে মারা যান।
উলে­খ্য, ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর শহিদ নূর হোসেন স্বৈরাচার সরকারের পুলিশের গুলিতে নিহত হওয়ার পর এরশাদ বিরোধী আন্দোলন কিছুটা থেমে যায়। ১৯৯০ সালের ১০ অক্টোবর জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কর্মসূচি এবং শহিদ জেহাদের হত্যার মধ্য দিয়ে এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের নতুন মোড় নেয়। ওই ঘটনার পর জেহাদের লাশ নিয়ে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছল এবং হত্যার প্রতিবাদে তৎকালীন আ’লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিবসহ সকল চাত্র সংগঠন স্বৈরাচার পতনের এক দফা কর্মসূচিতে যুক্ত হয়। এর পর একের পর এক দৃশ্য পাল্টে যায় এবং সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের নেতৃত্বে ছাত-জনতার গণঅভ্যুত্থান হয়। ওই বছরের ৬ ডিসেম্বের স্বৈরাচার এরশাদের ৯ বছরের শাসন পতন হয়।