খুলনা | মঙ্গলবার | ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১৯ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

দৈনিক সময়ের খবর পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের জের

অবশেষে ডুমুরিয়া উপজেলা পরিষদের ভাগাভাগির ১২ লক্ষ টাকা ফেরত দিলো আত্মসাৎকারিরা

ডুমুরিয়া প্রতিনিধি |
০১:৪৭ এ.এম | ১০ অক্টোবর ২০২৪


দৈনিক সময়ের খবর পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর  অবশেষে ডুমুরিয়ায় উপজেলা পরিষদের ইমারত স্থাপনা নির্মাণ অনুমোদন প্রকল্পের ভাগাভাগির ১২ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছে উপজেলা চেয়ারম্যান এজাজ আহমেদ ও তার সহযোগী মুস্তাফিজ। গতকাল বুধবার উপজেলা পরিষদের কৃষি ব্যাংক ডুমুরিয়া শাখা একাউন্টে আত্মসাৎকৃত ওই টাকা জমা দেয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, বৃহত্তর ডুমুরিয়া উপজেলায় ইমারত নির্মাণ অনুমোদনের জন্য শত শত লোক উপজেলা পরিষদের দ্বারস্থ হয়ে থাকেন। তারই ধারাবাহিকতায় ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে কয়েকশ’ ইমারত নির্মাণ অনুমোদনের আবেদন পড়ে উপজেলা পরিষদে। নীতিমালা অনুযায়ী অনুমোদনকৃত ইমারত স্থাপনে প্রতি স্কয়ার ফুটে এক টাকা হারে উপজেলা পরিষদের কৃষি ব্যাংক একাউন্ট তহবিলে জমা দেয়ার নির্দেশনা রয়েছে। সে মোতাবেক গত ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে ওই একাউন্টে প্রায় ১৩ লাখ টাকা জমা হয় বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়। কিন্তু সাবেক উপজেলা পরিষদের দুর্নীতিবাজ চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহমেদ রাজস্ব খাতে জমাকৃত টাকা থেকে তার একান্ত আস্থাভাজন সিএ-২ প্রশাসক মুস্তাফিজের সহায়তায় নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে গোপনে গত ২৬ মে কৃষি ব্যাংক ডুমুরিয়া শাখার ৭৯৪ নম্বর একাউন্ট থেকে ১২ লক্ষ টাকা উত্তোলন করে ভাগাভাগি করে নেন, যা নিয়ম বহির্ভূত। এ নিয়ে দৈনিক সময়ের খবর পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপর ওই দুর্নীতিবাজরা দৌড়-ঝাঁপ শুরু করে। একপর্যায়ে এটি ধামাচাপা দিতে ব্যর্থ হয়ে গতকাল কৃষি ব্যাংকের ওই একাউন্টে উত্তোলনকৃত টাকা ফেরত দেন। ব্যাংকে টাকা ফেরত দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে সিএ-২ প্রশাসক মুস্তাফিজুর রহমান এর সত্যতা স্বীকার করে বলেন, উত্তোলনকৃত টাকাগুলো গতকাল ফেরত দেয়া হয়েছে। ঘটনা প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আল আমিন বলেন, ১২ লাখ টাকা উত্তোলনের জন্য শোকজ করা হয়েছিল, গতকাল রাষ্ট্রীয় ওই অর্থ ফেরত দিয়েছে তারা।