খুলনা | শনিবার | ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৭ পৌষ ১৪৩১

দূষণ ও অবৈধ দখল থেকে মুক্ত করতে ময়ূর নদ হলো খুলনা বিভাগের মডেল

নিজস্ব প্রতিবেদক |
০১:৫৪ এ.এম | ১০ অক্টোবর ২০২৪


পরিবেশ ও বন মন্ত্রাণলয়ের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেশের ৮টি বিভাগের ৮টি নদ-সদীকে দূষণ মুক্ত ও অবৈধ দখল মুক্ত করতে মডেল পকিল্পনা নেওয়া হয়েছে। খুলনা বিভাগের মডেল হিসেবে ময়ূর নদকে নির্বাচিত করা হয়েছে। এই ৮টি নদ-নদীকে মডেল ধরে পরবর্তীতে দেশের অন্যান্য নদ-নদী দূষণমুক্ত ও অবৈধ দখল মুক্ত করা হবে।
বুধবার খুলনা বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালকের কার্যালয়ে এ সংক্রান্ত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় সভাপিতত্ব করেন খুলনা বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মোঃ সাদিকুল ইসলাম। তিনি এ সময় বলেন, বর্তমান পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেশের ৮টি বিভাগের ৮টি নদীকে দূষণমুক্ত ও অবৈধ দখলমুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ইতোমধ্যে সেই নির্দেশনা অনুযায়ী এ সভা হচ্ছে। প্রথমে খুলনা বিভাগের বিভিন্ন নদীর বিষয়ে আলোচনা শেষে মডেল হিসেবে ময়ূর নদকে মনোনীত করা হয়। পরে মডেল ময়ূর নদকে কিভাবে দূষণমুক্ত ও অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করে কিভাবে সেটিকে সচল এবং প্রবাহমান করা যায়, সে সম্পর্কে স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদী সুপারিশ নেওয়া হয়। যেটি প্রস্তাবনা অনুযাীয় মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হবে।
আলোচনা উঠে আসে ময়ূর নদের উৎসস্থল এবং তার সঙ্গে যুক্ত শাখা খালগুলোও এ প্রকল্পে আনতে হবে। প্রাথমিকভাবে দেখা যায় হট স্পট হিসেবে ময়ূর নদ দূষণের ৬টি স্থানকে সনাক্ত করা হয়েছে। সে গুলো হলো, (১) খুলনা সিটি কর্পোরেশনের পয়ঃবর্জ্য ও ডমেস্টিক তরল ও কঠিন বর্জ বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে নির্গত হচ্ছে, (২) গল­ামারী কাঁচা বাজারের বর্জ্য ময়ূর নদকে দূষণ করছে, (৩) গল­ামারীস্থ কসাই খানার বর্জ্য, (৪) নগরীর বড় বয়রা ও ডাক্তার পাড়া দিয়ে হাসপাতাল ও ক্লিনিক থেকে নির্গত অপরিশোধিত তরল বর্জ্য, (৫) ত্রিমোহিনী বাঁশের চরে ব্যক্তি মালিকানাধীন গুরুর খামারের কঠিন ও তরল বজ্য ও (৬) সাচিবুনিয়া এলাকায় মৎস্য প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানার তরল ও কঠিন বর্জ্য।
এ সময় স্বল্প মেয়াদী প্রকল্পের মধ্যে সংশ্লিষ্ট স্টেক হোল্ডারের সঙ্গে সচেতনাতা বৃদ্ধি, সমগ্র পকল্পের জন্য বিভিন্ন সেক্টরের সমন্বয়ে টেকনিক্যাল কমিটি গঠন, দ্রুত নগীর ২২ খাল দখলমুক্ত, সংশ্লিষ্ট এলাকার পরিবেশ দূষণকারী কারখানা বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ইটিপি স্থাপন, সব কিছু মনিটরিং এবং জনসচেতনার জন্য ছাত্র ও স্টেক হোল্ডারদের নিয়ে স্বেচ্ছাসেবী দল গঠন, খুলনা সিটি কর্পোরেশন, খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কেডিএ), সড়ক ও জনপথ, পানি উন্নয়ন বোর্ড, খুলনা বিশ^বিদ্যালয় ও কুয়েট এর বিশেষজ্ঞদের সমন্বয় যৌথ কর্ম পরিকল্পনাসহ বিভিন্ন বিষয়ের ওপার আলোচনা হয়। যেটি ভবিষ্যতে ময়ূর নদকে দূষণমুক্ত এবং অবৈধ দখল মুক্ত করে খনন করে পানি প্রবাহ চলমান ও পরিবেশ রক্ষা সহায়তা করবে।
সভায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের শিক্ষক আতিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আতিকুল ইসলাম, কেডিএ’র কর্মকর্তা তানভীর, পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটবৃন্দ, বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধি ও গণমাধ্যমের কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।