খুলনা | শনিবার | ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৭ পৌষ ১৪৩১

মানিকগঞ্জে সাবেক এমপি মমতাজ, সাবেক এএসপি কামরুলসহ ৯০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

খবর প্রতিবেদন |
০১:৩৯ এ.এম | ১১ অক্টোবর ২০২৪


মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-কে নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে মানিকগঞ্জের সিংগাইরে হেফাজতে ইসলামের কর্মসূচিতে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের গুলিতে চারজন নিহতের ঘটনায় আদালতে মামলা হয়েছে। এতে সাবেক সংসদ সদস্য ও কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগমকে প্রধান আসামি করে আওয়ামী লীগের ৫২ নেতা-কর্মী ও ৩৮ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে হত্যা মামলা করা হয়েছে। মামলায় ৯০ জনের নাম উলে­¬খসহ অজ্ঞাত আরও ৫০/৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে। বুধবার মানিকুগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন নিহত মাওলানা নাসির উদ্দিনের ভাই মোঃ শহিদুল ইসলাম।
‎মামলার অন্য আসামিরা হলেন সাবেক পৌর মেয়র মীর মোঃ শাহজাহান, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মুশফিকুর রহমান খান হান্নান, সিংগাইর উপজেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল মাজেদ খান, সাধারণ সম্পাদক শহিদুর রহমান শহীদ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোঃ সায়েদুল ইসলাম, পৌরসভার সাবেক মেয়র আবু নাঈম মোঃ বাশার, পৌর প্যানেল মেয়র সমেজ উদ্দিন, সাবেক কাউন্সিল আব্দুস সালাম খান, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রমিজ উদ্দিনসহ ৫২ জন।
‎পুলিশ সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন তৎকালীন মানিকগঞ্জের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ কামরুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ ডিবি পুলিশের ওসি মোঃ মহিবুল আলম, মদন মোহন বণিক, মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম, সিংগাইর থানার এসআই আদিল মাহমুদ, মোজাম্মেল হোসেনসহ ৩৮ জনকে মামলার আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন ২০১৩ সালের ফেব্র“য়ারিতে গণজাগরণ মঞ্চ থেকে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-কে নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে ওই বছরের ২৪ ফেব্র“য়ারি সিংগাইর পৌরসভার গোবিন্ধল থেকে একটি প্রতিবাদ মিছিল বের হয়। এ সময় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা রিভলবার, পিস্তল ও দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রসহ পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে উপস্থিত হয়ে বাধা দেয়। একপর্যায়ে সাধারণ মুসলি¬দের লক্ষ্য করে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা গুলিবর্ষণ করে। এতে ঘটনাস্থলে গোবিন্ধল গ্রামের মাওলানা নাসির উদ্দিন, আলমগীর হোসেন, নাজিম উদ্দিন ও শাহ আলম নিহত হন। এ ছাড়া ওই ঘটনায় অন্তত অর্ধশতাধিক সাধারণ মুসলি­¬ আহত হন।
মামলার বাদী মোঃ শহিদুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় নিহতের স্বজনদের পক্ষ থেকে মামলা করতে চাইলে পুলিশ মামলা নেয়নি। উল্টো পুলিশ বাদী হয়ে গ্রামবাসী ও স্থানীয় বিএনপি-জামায়াতের শতাধিক নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করে। তাই সুষ্ঠু বিচারের আশায় আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর গতকাল বুধবার মানিকগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি হত্যা মামলা করেছি।