খুলনা | শনিবার | ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৭ পৌষ ১৪৩১

শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ইন্টারপোলের সহায়তা নেওয়া হবে : তাজুল ইসলাম

খবর প্রতিবেদন |
০৪:৩৪ পি.এম | ১৩ অক্টোবর ২০২৪


সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বিদেশে পলাতকদের ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলের সহায়তা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর এড. তাজুল ইসলাম। রোববার এ তথ্য জানিয়েছেন তিনি। ছুটির দিন হলেও এদিন কার্যালয়ে বৈঠক করেছেন ট্রাইব্যুনালের সদস্যরা। সেখানে তাজুল ইসলাম এও জানান, গণহত্যার বিচারের জন্য চলতি সপ্তাহেই বিচারক নিয়োগ দেওয়া হবে।
চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘বিচারক নিয়োগ হলে এ সপ্তাহেই জুলাই-আগস্ট গণহত্যায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ও দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হবে। শেখ হাসিনাসহ বিদেশে পলাতকদের ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলের সহায়তা নেওয়া হবে।’
উলে­খ্য, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এখন পর্যন্ত গুম, হত্যা, গণহত্যাসহ ৬০টির বেশি অভিযোগ জমা পড়েছে শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগ, ১৪ দলের নেতা ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সাবেক শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। তদন্ত সংস্থা ও প্রসিকিউশন টিমে নিয়োগ হলেও বাকি ছিল বিচারক নিয়োগ। 
এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গেলো জুলাই ও আগস্ট মাসে গণহত্যার অভিযোগ উঠে। এসব অভিযোগের বিচার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে করার সিদ্ধান্ত নেয় অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকার। এরই অংশ হিসেবে নতুন প্রসিকিউশন টিম ও তদন্ত সংস্থা গঠিত হয়েছে। বিচারের জন্য আইন সংশোধন ও ভবন মেরামতের কাজও চলমান। এমন পরিস্থিতিতেই আগামী সপ্তাহের মধ্যেই ট্রাইব্যুনালের বিচারক নিয়োগ হবে।
স্বাধীনতার ৩৯ বছর পরে ২০১০ সালে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। ট্রাইব্যুনালের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় ওই বছরের ২৫ মার্চ। পরে ২০১২ সালের ২২ মার্চ ট্রাইব্যুনাল-২ নামে আরেকটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। তবে ২০১৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর দু’টিকে একীভূত করে আবার একটি ট্রাইব্যুনাল বহাল রাখা হয়। ফলে একটি ট্রাইব্যুনালে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারকার্য চলমান ছিল।
এদিকে জুলাই-আগস্টের আন্দোলনের পর পতন ঘটে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারের। এর পরপরই সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তার দল, দলটির সুবিধাভোগী ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সাবেক-বর্তমান কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ দায়ের হতে শুরু হয়। সেসব অভিযোগের বিচারের জন্য অন্তর্র্বতীকালীন সরকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন ও আইন সংশোধনের মাধ্যমে বিচার প্রক্রিয়াকে সচল করতে উদ্যোগী হয়ে ওঠে।