খুলনা | শনিবার | ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৭ পৌষ ১৪৩১

মোহাম্মদপুরে ডাকাতিতে লুট হওয়া টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার

গ্রেফতার ১১ জনের পাঁচজনই বিভিন্ন বাহিনীর বরখাস্ত সদস্য

খবর প্রতিবেদন |
০৫:০৮ পি.এম | ১৩ অক্টোবর ২০২৪


রাজধানীর মোহাম্মদপুরে গভীর রাতে সেনাবাহিনী ও র‌্যাবের পোশাক পরে সংঘবদ্ধ ডাকাত দল একটি বাসা থেকে সাড়ে ৭৫ লাখ টাকা ও ৬০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুট করে। এ ঘটনায় ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে আটজনকে র‌্যাব ও তিনজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর (গোয়েন্দা) পুলিশ। একই সঙ্গে ডাকাতির ঘটনায় লুট করা সাত লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র‌্যাব।
ডিএমপির যুগ্ম-কমিশনার (ক্রাইম) মোঃ ফারুক হোসেন জানান, গত শুক্রবার দিবাগত রাতে মোহাম্মদপুরের তিন রাস্তার মোড় ভেড়িবাঁধ এলাকায় ব্যবসায়ীর বাসায় ডাকাতির ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযান চলমান।
রোববার সন্ধ্যায় ডিএমপির জনসংযোগ ও গণমাধ্যম শাখার উপ-কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান সংঘবদ্ধ ডাকাতি ঘটনায় তিন ডাকাতকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন শরীফুল ইসলাম তুষার (৩৫), জাকির হোসেন (৩৭) ও মোঃ মাসুদুর রহমান (৪৭)। তাদের কাছ থেকে দুই লাখ ২০ হাজার টাকা, প্রায় চার ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও দু’টি আইফোন উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি বলেন, গত ১২ অক্টোবর দিবাগত রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর ডাকাতি মামলায় সরাসরি জড়িত তিন ডাকাতকে রোববার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
জানতে চাইলে র‌্যাবের লিগ্যাল এ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস বলেন, গ্রেফতার ১১ জনের মধ্যে পাঁচজন বিভিন্ন বাহিনীর চাকুরিচ্যুত সদস্য। বাকি তিনজন সাধারণ মানুষ। তাদের কাছ থেকে সোনার একটি ব্রেসলেট ও আংটি উদ্ধার করা হয়েছে। ডাকাতির এ ঘটনায় কোনো বাহিনীর কেউ জড়িত থাকলে গ্রেফতার করা হবে বলে জানান মুনীম ফেরদৌস।
এর আগে শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে মোহাম্মদপুর তিন রাস্তা মোড়ের কাছে একটি বাড়িতে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। মুখে মাস্ক লাগানো সেনাবাহিনীর পোশাক পরা লোকজনকে দেখে দারোয়ান গেট খুলে দেন। এরপর তারা ওই ভবনের তিনতলায় আবু বকরের ফ্ল্যাটে যায়। র‌্যাবের জ্যাকেট পরা ও সাদা পোশাকের লোকজনও ছিল তাদের সঙ্গে।
ভুক্তভোগী আবু বকর বলেন, ডাকাতরা বাসায় ঢুকে আমার বৈধ অস্ত্র থানায় জমা দেইনি বলে অস্ত্র নিতে আসার কথা জানায়। অস্ত্র থানায় জমা দেওয়া হয়েছে জানালেও তারা কোনও কথা না শুনে অস্ত্র খোঁজার নাম করে আলমারিগুলো খুলে তছনছ করে এবং টাকা স্বর্ণালঙ্কার নেয়। পরে তারা ফ্ল্যাটের একপাশে আমার অফিসে যায় এবং একই ভাবে অস্ত্র আছে বলে সিন্দুক ও আলমারি খুলে টাকা নিয়ে নির্বিঘেœ চলে যায়। তারা প্রায় ঘণ্টাখানেক অবস্থান করে ভোর সোয়া ৪টার দিকে বাসা থেকে বের হয়ে যায়। এ ঘটনায় ব্যবসায়ী আবু বকর বাদী হয়ে শনিবার রাতে মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেন। আবু বকর জমি ও ইট-বালু কেনাবেচার ব্যবসা করেন। 
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে এ বিষয়ে মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী ইফতেখার বলেন, ডাকাতির ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে মূলত যৌথ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। অনেক নাটক আছে শুনেছি। তবে, থানা পুলিশের কাছে এখন পর্যন্ত একজনকেও সোপর্দ করা হয়নি।