নগরীর খালিশপুর গোয়ালখালি লেবুতলার মোড় এলাকায় প্লাস্টিক রিসাইক্লিং কারখানার ম্যানেজারকে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। এসময় আরও ৫ জন আহত হয়েছে। 
ভুক্তভোগী সূত্রে জানা গেছে, গত ১৪ অক্টোবর রবিবার দুপুরে প্লাস্টিক রিসাইক্লিং প্রতিষ্ঠান শরীফ এন্ড ব্রাদার্স-এর পাশের রাস্তায় স্থানীয় মুজগুন্নী উত্তরপাড়ার আরাফাত রোডের কালা কাওসারের পুত্র রাজ (২৫), কালা আজিজের পুত্র ওয়াহিদ (২৫) ও মুকুলের পুত্র মমিন (২৫) মিলে কারখানার পাশের রাস্তা থেকে দু’টো মেয়েকে মারধর শুরু করে। আত্মরক্ষার জন্য মেয়ে দু’টো দৌড়ে কারখানার ভিতরে এসে চিৎকার চেঁচামেচি করতে থাকে। এ সময় রাজ, ওয়াহিদ  মমিন এসে ওই মেয়েদের কিল ঘুষি লাথি মারতে থাকলে কারখানা মালিক রানার ছোট ভাই ম্যানেজার আবু হানিফ ও শ্রমিকরা এগিয়ে এসে বাধা দেয়। তাদেরকে দেখে নেবার হুমকি দিয়ে চলে যায় সন্ত্রাসীরা। এর সামান্য কিছু সময় পরে রাজের নেতৃত্বে ১০ থেকে ১৫ জনের একদল সন্ত্রাসী রামদা, চাপাতিসহ দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে কারখানা ম্যানেজার আবু হানিফ ও শ্রমিকদের উপর হামলা চালায়। এতে ম্যানেজার আবু হানিফসহ তিনজন মহিলা ও দুইজন পুরুষ শ্রমিক আহত হয়। এদের মধ্যে গুরুতর জখম আবু হানিফকে দ্রুত খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এদিকে এ ঘটনার বিচারের দাবিতে মঙ্গলবার দুপুরে শ্রমিক-কর্মচারীরা বিক্ষোভ করে। এ বিষয়ে কারখানা মালিক মোঃ শরিফুল ইসলাম রানা বলেন, এর আগেও বিভিন্ন সময় সন্ত্রাসী রাজ চাঁদা দাবি করে আসছিল, মাঝে মধ্যে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে কম-বেশি চাঁদাও নিয়েছে। যা স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ খালিশপুর থানা পুলিশকে মৌখিকভাবে অবহিত করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, সন্ত্রাসী রাজ গত ৬ আগস্ট আমার কাছে ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদার টাকা দিতে না পারায় হয়তো বা পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করছি। এ ঘটনায় কারখানা মালিক রানা খালিশপুর থানায় মামলার প্রস্তুতি নিয়েছেন বলে জানান।