খুলনা | বৃহস্পতিবার | ১৭ অক্টোবর ২০২৪ | ১ কার্তিক ১৪৩১

মানববন্ধন ও সমাবেশে বক্তারা

ক্রিসেন্ট জুটমিলসহ বন্ধ সকল পাটকল রাষ্ট্রীয় ভাবে চালুর দাবি

খবর বিজ্ঞপ্তি |
০১:৪২ এ.এম | ১৬ অক্টোবর ২০২৪


পাটকলসহ বন্ধ সকল রাষ্ট্রীয় কলকারখানা দুর্নীতি ও লুটপাটমুক্ত করে আধুনিকায়নের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় মালিকানায় চালুর দাবি উঠেছে। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টায় খালিশপুর ক্রিসেন্ট গেটের সামনে মানববন্ধন ও সমাবেশে বক্তারা এ দাবি জানান। একই সাথে শ্রমিকদের সকল পাওনা সঠিক হিসাব অনুযায়ী প্রদান, মাথাভারি প্রশাসন ও দুর্নীতিযুক্ত বিজেএমসির সংস্কার করাসহ তৎকালীন মন্ত্রী, সচিব ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দুর্নীতির তদন্ত ও বিচার, যে সকল রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল লিজ দেয়া হয়েছে এবং প্রক্রিয়াধীন আছে সেগুলো বাতিল, ২০১০ সালের ম্যান্ডেটরি প্যাকেজিং এক্ট কার্যকর করা, কাঁচাপাট সরাসরি রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা করা, আন্দোলনরত শ্রমিকদের বিরুদ্ধে মিল কর্তৃক যে সকল ফৌজদারি মামলা রয়েছে সেগুলো প্রত্যাহার করা এবং খুলনায় আন্দোলন চলাকালীন শ্রমিক ও নাগরিক নেতৃবৃন্দের নামে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি তাদের। 
ক্রিসেন্ট জুটমিল কারখানা কমিটির সহ-সভাপতি মোঃ মোশারেফ হোসেনের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাকির হোসেনের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, জেলা গণসংহতি আন্দোলনের আহবায়ক মুনীর চৌধুরী সোহেল, নওয়াপাড়া পৌরসভার সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর শামসেদ আলম শমসের, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ জেলা সদস্য সচিব কোহিনুর আক্তার কণা, বিএনপি’র মহানগর শাখার সদস্য বিপ্লবুর রহমান কুদ্দুস, পাট শ্রমিক দলের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ওমর ফারুক, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট জেলা সভাপতি আবদুল করিম, গণসংহতি আন্দোলন ফুলতলা উপজেলা আহবায়ক ও ইস্টার্ণ জুটমিল মোঃ অলিয়ার রহমান, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আল আমিন শেখ, ক্রিসেন্ট জুটমিল কারখানা কমিটির সহ-সভাপতি কবির জাহাঙ্গীর, শামীম হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল খায়ের, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট খালিশপুর থানা সংগঠক ইউনুস মাসুদ, ক্রিসেন্ট জুটমিল কারখানা কমিটির সহ-সম্পাদক আকতার হোসেন, আবদুর রহিম সুজন, কামরুল হোসেন, কোষাধ্যক্ষ মোঃ সেলিম, প্রচার সম্পাদক শামসুল আলম, দপ্তর সম্পাদক সুমন খন্দকার, গণসংহতি আন্দোলন অভয়নগর সংগঠক ও জেজেই শ্রমিকনেতা সামস সারফিন সামন ও ইস্টার্ণ জুটমিল শ্রমিকনেতা পিপলু সরদার প্রমুখ।
উলে­খ্য সবচেয়ে বিষ্ময়কার ঘটনা হলো, বিজেএমসির কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা স্বপদে বহাল রয়েছেন এবং তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। কয়েকটি মিল ইতিমধ্যে ব্যক্তি মালিকানায় লিজ দেয়া হয়েছে, ক্রিসেন্ট জুটমিল লিজ দেয়ার প্রক্রিয়াধীন আছে। কোটি কোটি টাকার সরকারি সম্পদ লুটপাট, চুরি ও অবহেলায় ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। বক্তারা অবিলম্বে বন্ধকৃত পাটকল রাষ্ট্রীয়ভাবে চালু ও শ্রমিকদের সম্পূর্ণ বকেয়া পরিশোধের জোর দাবি জানান।