মোংলায় মৃত্যুর খবর প্রচারের ৭ ঘন্টা পর হঠাৎ এক নারী জীবিত হয়ে ওঠার ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টার দিকে মৃত্যুর খবর হলে ভোরে মসজিদে মাইকিং করা হয়। সকাল ৮টার দিকে স্থানীয় লোকজন তার বাড়িতে গিয়ে জানতে পারে সে জীবিত। উপজেলার চিলা ইউনিয়নের দক্ষিণ হলদিবুনিয়া এলাকায় এমন ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এলাকার মানুষের মাঝে নানা কৌতূহলের জন্ম দিয়েছে। 
সরেজমিন স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, উপজেলার দক্ষিণ হলদিবুনিয়া এলাকায় দীর্ঘদিন থেকেই বসবাস করে আসছেন জলিল শেখ ও শাহিনা বেগম দম্পত্তি। কিছু দিন আগে শাহিনা বেগম শারিরীকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরিবারের পক্ষ থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বেশ কয়েকটি হাসপাতালে চিকিৎসাও করানো হয় তাকে। কিন্তু এতে সুস্থ না হলে বেশ কয়েকদিন যাবৎ শয্যাসায়ী ছিলেন। মঙ্গলবার রাতে ২টার দিকে কোন সাড়া শব্দ না থাকায় পরিবারের লোকজন তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানায়। ভোরে স্থানীয় কয়েকটি জামে মসজিদে মৃত্যুর খবরে মাইকিংও করানো হয় পরিবারের পক্ষ থেকে। এছাড়া গোসল, জানাযা ও দাফনের সকল সরঞ্জামাদীও প্রস্তুত করেন স্বজনরা। পাশে বসে কোরআন পাঠও করেন অনেকে। শাহিনা বেগমের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে শেষবারের মতো এক নজর দেখার জন্য ছুটে যান প্রতিবেশীরা। সকাল ৮টার দিকে হঠাৎ জীবিত হয়ে উঠেন তিনি। এই দৃশ্য দেখে হতবাক সবাই। মুহূর্তের মধ্যে খবরটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে সাধারণ মানুষের মাঝে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। মানুষ তার বাড়িতে ভিড় জমাতে থাকে। তবে মৃত্যুর মতো এমন খবর সঠিক না জেনে প্রচার করা ঠিক হয়নি বলে জানান স্থানীয়রা। 
চিলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী আকবার হোসেন বলেন, এলাকার চৌকিদারের মাধ্যমে বড় বাড়ির নারীর মৃত্যুর খবর আসে। এছাড়া মৃত্যু ব্যক্তিকে গোসল ও দাফন করানোর প্রস্তুত নেয়া হয়েছিল। তবে ব্যস্ততার কারনে ওই সময় তার বাড়িতে দেখতে যেতে না পারলেও সকালে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত নেই। কিন্তু সকাল ৮টার দিকে জানতে পারি সে জীবিত আছে। তবে শাহিনা বেগমের মৃত্যুর খবর প্রচারের পর পুনরায় জীবিত খবর হওয়ায় এলাকার মানুষের মাঝে ভয় ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।  ৪ সন্তানের জননী শাহিনা বেগম মিঠাখালী সাহেবের মেঠ এলাকার আমির গাজীর মেয়ে।