খুলনা | শনিবার | ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | ৯ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

পাকিস্তানে পার্লামেন্টের ওপর আদালতের ‘হস্তক্ষেপ’ বন্ধে সাংবিধানিক সংশোধনী পাস

খবর প্রতিবেদন |
০১:৩৩ এ.এম | ২২ অক্টোবর ২০২৪


পাকিস্তান সরকার দেশটির পার্লামেন্টে সাংবিধানিক সংশোধনীর একটি প্যাকেজ পাস করেছে। রোববার ভোটাভুটিতে খুব কম ব্যবধানে এই সংশোধনী পাস হয়। সরকার বলছে, এই সংশোধনী দেশটির আদালতকে পার্লামেন্টের ওপর ‘হস্তক্ষেপ’ করে, এমন রায় দেওয়া থেকে বিরত রাখবে।
গত ফেব্র“য়ারিতে পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচন হয়। নির্বাচনের পর থেকে সরকার ও দেশটির শীর্ষ আদালতের মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে দেখা যায়।
গত জাতীয় নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া দেশটির সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ ইমরান খানকে কারাগারে বন্দি রেখে তাঁকে ভোটে লড়তে না দিয়ে এই নির্বাচন করায় তা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা আছে।
রোববার গভীর রাতে পার্লামেন্টের অধিবেশনে বিচারিক সংস্কার সংক্রান্ত সাংবিধানিক সংশোধনী পাস হয়। এই সংশোধনীর অধীনে এখন একটি সংসদীয় কমিটি পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি নির্বাচন করবে। তাঁর মেয়াদকাল হবে তিন বছর। এ ছাড়া সংশোধনীর আওতায় এখন একটি নতুন সাংবিধানিক বেঞ্চও গঠন করা হবে।
সংশোধনী পাসের ক্ষেত্রে সরকার কয়েকটি ছোট ধর্মীয় গোষ্ঠীর সমর্থন পায়। সংশোধনী পাসের আগের দিন গত শনিবার পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আসিফ খাজা বলেছিলেন, এর লক্ষ্য হলো পার্লামেন্টের ওপর হস্তক্ষেপমূলক বিচারিক রায় বন্ধ করা।
আসিফ খাজা আরও বলেছিলেন, ‘সবাই একমত যে আমরা পার্লামেন্টের কর্তৃত্বের বিষয়ে আপস করব না।’
প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) দীর্ঘদিনের প্রতিদ্ব›দ্বী পাকিস্তান পিপলস পার্টিসহ (পিপিপি) কয়েকটি দলের সমর্থনে পার্লামেন্টে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। এর মধ্যে একটি ধর্মীয় দলও আছে, যারা একসময় ইমরান খানের মিত্র ছিল।
পার্লামেন্টে সংশোধনী পাসের ক্ষেত্রে ২২৪ ভোট দরকার ছিল। ভোট পড়ে ২২৫টি। ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের কিছু বিদ্রোহী সদস্য এই সংশোধনীর পক্ষে ভোট দেন।
পার্লামেন্টের বৃহত্তম ব¬ক পিটিআই এই সংশোধনী প্যাকেজ সমর্থনে অস্বীকৃতি জানায়। বিশ্লেষকেরা বলেন, যদিও সংশোধনী নমনীয় করার পাশাপাশি একটি ঐকমত্য চুক্তির প্রস্তাব পিটিআইকে দেওয়া হয়েছিল।
জাতীয় পরিষদের অধিবেশনে বিরোধী দলের নেতা পিটিআইয়ের ওমর আইয়ুব খান বলেন, এই সংশোধনীগুলো একটি স্বাধীন বিচারব্যবস্থার শ্বাস রোধ করার মতো। তারা (সরকার) পাকিস্তানের জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে না। কারচুপির মাধ্যমে গঠিত সরকার সংবিধান সংশোধন করতে পারে না।
পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি কাজী ফয়েজ ঈসা অবসরে যাওয়ার কয়েক দিন আগে এই সংশোধনীগুলো আনা হলো। 
সূত্র : এএফপি।