খুলনা | বৃহস্পতিবার | ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১২ পৌষ ১৪৩১

রাষ্ট্রপতি ইস্যুতে কোনো হঠকারী সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না: মির্জা ফখরুল

খবর প্রতিবেদন |
০১:০১ পি.এম | ২৭ অক্টোবর ২০২৪


দেশে সাংবিধানিক শূন্যতা সৃষ্টি হয় এমন কোনো হঠকারী সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

রোববার (২৭ অক্টোবর) জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন ও ফাতেহা পাঠের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগের বিষয়ে কয়েকদিন ধরে আন্দোলন চললেও এখনো সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়নি সরকার। গতকাল বিষয়টি নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও নাগরিক কমিটির নেতারা বিএনপির সঙ্গে বৈঠকে বসে। তবে দলটির শীর্ষ নেতারা তাদের সিদ্ধান্তের কথা জানাননি। রাষ্ট্রপতিকে অপসারণের বিষয়ে দলীয় ফোরামে আলোচনা করে পরে সিদ্ধান্ত জানানোর কথা বলেছেন বিএনপি নেতারা। বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিএনপির সর্বোচ্চ ফোরাম রয়েছে, সেখানে এ নিয়ে আলোচনা হবে। তারপর আমাদের অবস্থান পরিষ্কার করবো।

রোববার বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, রাষ্ট্রপতির ইস্যুতে কোনো হঠকারী সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না। সবকিছু সাংবিধানিক নিয়মে করতে হবে। রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের বিষয়ে দলীয় ফোরামে আলোচনা করে বিস্তারিত জানানো হবে।

এ সময় সংস্কার শেষে দ্রুত নির্বাচন দেওয়ার আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব। বলেন, যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচনকেন্দ্রীক সংস্কার করে নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। অভ্যুত্থানের ফসল যাতে নষ্ট না হয় সেজন্য জাতীয় ঐক্য প্রয়োজন।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা আগেও বলেছিলাম গণ-অভ্যুত্থানের ফসলকে ঘরে তোলার জন্য বাংলাদেশের বিপ্লবকে সংহত করতে হলে জাতীয় ঐক্য করতে হবে। কোনোরকম হটকারী সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না। তা সাংবিধানিক প্রক্রিয়ায় হওয়া উচিত বলে আমরা মনে করি। তারজন্য বেশি প্রয়োজন অতিদ্রুত নির্বাচন কেন্দ্রিক সংস্কার শেষে নির্বাচন করা।

নির্বাচন বিলম্বিত করতে কোনো ষড়যন্ত্রের আশঙ্কা করছে কিনা বিএনপি? জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা বার বার বলছি— যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন করা দরকার। একটি সাংবিধানিক রাজনৈতিক শক্তির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।

আজকে শপথ নিয়েছি, যেকোন মূল্যে আমাদের স্বাধীনতাকে রক্ষা করবো— এমনটা জানিয়ে তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে দীর্ঘ সংগ্রাম শেষে গত ৫ আগস্ট দ্বিতীয়বার স্বাধীন হয়েছে। এই সংগ্রামে যুবদলের ভূমিকা নিঃসন্দেহে উল্লেখযোগ্য।

যুবদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে যুবদলের সভাপতি মোনায়েম মুন্নার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়নের পরিচালনায় শ্রদ্ধা নিবেন অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ ভুলু, চেয়ারপারসন উপদেষ্টা মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ।