খুলনা | বৃহস্পতিবার | ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১২ পৌষ ১৪৩১

মোংলায় শত বছরের পরিত্যাক্ত ঠাকুরানীর খাল উদ্ধারে প্রশাসনের অভিযান

মোংলা প্রতিনিধি |
১২:২২ এ.এম | ০৯ নভেম্বর ২০২৪


মোংলা শহরের প্রাণ কেন্দ্রের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া শত বছরের পরিত্যাক্ত ঠাকুরানীর খাল উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে পৌর ও উপজেলা প্রশাসন। শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে শহরের গার্লস স্কুল সংলগ্ন এলাকা থেকে প্রাথমিক কার্যক্রম শুরু করে খালের ময়লা আবর্জনা ও দুই পাড়ের দখলদারের কবল থেকে উদ্ধার কাজ শুরু করা হয়েছে।
পৌর প্রশাসক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, মোংলা পোর্ট পৌর শহরের প্রাণকেন্দ্র মাদ্রাসা রোডের শুরু থেকেই প্রবাহমান শত বছরের সরকারি রেকর্ডিয় ঠাকুররানী খাল। শহরকে পানির প্লাবন থেকে রক্ষায় পৌর কর্তৃপক্ষ প্রায় একযুগ আগে এ খালে স্লুইস গেট নির্মাণ করে। এতে শহরে পানি প্রবেশ বন্ধ হলেও খালটির প্রবাহমান না থাকায় পলি পড়ে ভরাট হয়ে এর নাব্যতা হারায়। এতে পানি নামতে না পারায় বৃষ্টির সময় শহর এলাকায় দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। ময়লার স্তূপে দুর্গন্ধ আর মশা মাছির উৎপাতসহ পরিবেশ দূষণের কবলে পড়ে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। এরই মধ্যে ডেঙ্গুসহ বিভিন্ন রোগে রোগাক্রান্ত হচ্ছে অনেকেই। এছাড়া দখল করে খালের দুই পাড়ে গড়ে উঠেছে অসংখ কাঁচা-পাকা স্থাপনা। তাই এ খালটি উদ্ধারের উদ্যোগ নেয় উপজেলা ও পৌর কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে গার্লস স্কুল সংলগ্ন এলাকা থেকে শুরু করে মোংলা আন্তজার্তিক ঘষিয়াখালী নৌ-চ্যানেল পর্যন্ত খালটির প্রায় ১০ কিলোমিটার পরিষ্কারে কাজ শুরু হয়। এর সহযোগিতা করছে শতাধিক পরিচ্ছন্নতা কর্মী, বিডি ক্লিন, উপজেলা ও পৌর প্রশাসন, ময়লা বহনকারী ট্রাক ও গাড়িসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম। 
এলাকাবাসী খালটিসহ শহরে আরো ৪টি খালের দূষণ ও দখল মুক্তের মধ্য দিয়ে প্রবাহ ফিরিয়ে আনার দাবি জানায় পৌর কর্তৃপক্ষ ও উপজেলা প্রশাসনের নিকট। সরেজমিন দেখা গেছে খালটির গার্লস স্কুলের সামনে থেকে পূর্ব পাশ সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে। সরকারি রেকর্ডিয় খালটি ইতিপূর্বে দখল করে অনেকেই পাকা ভবন নির্মাণ করেছে।
পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফিয়া শারমিন জানায়, পৌর শহরের মধ্যদিয়ে প্রবাহমান খালটি দীর্ঘদিন পরিত্যাক্ত অবস্থায় ছিল।  তাই খালটিসহ শহরের সকল খালের দখল, দূষণ ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন অভিযান শুরু করা হয়েছে। যতদিন পানির প্রবাহ ফিরে না আসে, ততদিন পর্যন্ত এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। এছাড়া যারা খালের দুই পাশ বা মাথার অংশ দখল করে রেখেছে অচিরেই তাদের বিরুদ্ধেও অভিযান চালানো হবে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। দ্রুত সময়ের মধ্যে দখল, দূষণ ও জলাবদ্ধতা নিরসন করে পানির প্রবাহ ফিরিয়ে আনাসহ পৌরবাসীর স্বাস্থ্য ঝুঁকি ও রোগ বালাই থেকে মুক্তি পাওয়ার দাবি পৌরবাসীর।