খুলনা | বৃহস্পতিবার | ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১২ পৌষ ১৪৩১

বিদ্যুৎকেন্দ্রের কয়লা ক্রয়

বাংলাদেশের কাছে ৩ হাজার কোটি টাকা বেশি নিয়েছে আদানি

খবর প্রতিবেদন |
১২:৫৮ এ.এম | ০৯ নভেম্বর ২০২৪


২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে গত জুন পর্যন্ত (১৫ মাস) শুধু কয়লার দাম বাবদ বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা বাড়তি নিয়েছে ভারতের বৃহৎ শিল্প গ্র“প আদানি। শুক্রবার দেশের শীর্ষস্থানীয় এক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা গেছে।
এতে বলা হয়, রামপাল ও পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য কয়লা কেনার সময় সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ ডিসকাউন্ট (মূল্যছাড়) পাওয়া গেলেও আদানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ক্ষেত্রে তা পায়নি বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)। নিজের খনি থেকে কয়লা সরবরাহ করা আদানি এক্ষেত্রে কোনো ডিসকাউন্ট দেয়নি। কেবল তা-ই নয়, খারাপ মানের কয়লা দেয়ার পরও চড়া দাম নিচ্ছে আদানি।  
চুক্তির দুর্বলতার কারণে এসব নিয়ে আদানির সঙ্গে আলোচনায়ও পেরে উঠছে না পিডিবি। আদানির চুক্তি ও আদানির কয়লা কেনার তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বর্তমানে প্রতি টন ৪৬০০ কিলো ক্যালরির কয়লা ৯০ ডলারে কিনছে আদানি বিদ্যুৎকেন্দ্র, যার টাকা দিচ্ছে পিডিবি।
অন্যদিকে একই মানের কয়লা পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র কিনছে ৬৮ ডলারে। সে হিসাবে প্রতি টনে ২০ থেকে ২২ ডলার বেশি নিচ্ছে আদানি। আদানি আবার এই কয়লা নিজের খনি থেকে কিনছে। আদানির কয়লায় ডিসকাউন্ট না থাকায় প্রতিষ্ঠানটি টনপ্রতি বাড়তি ২০ থেকে ২২ ডলার নিচ্ছে।  
আর বছর শেষে অন্তত তিন হাজার কোটি টাকা বাড়তি নিয়ে যাচ্ছে শুধু কয়লা বিক্রি করে। এর কারণ আদানির কেন্দ্রের জন্য কয়লা কেনার চুক্তিতে ডিসকাউন্টের বিষয়টি নেই, যেটা কি না পায়রা ও রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রে রয়েছে। এই সুযোগটিই নিচ্ছে আদানি গ্র“প।
এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, পিডিবি যদি নিজে ইন্দোনেশিয়া থেকে কয়লা কেনার কাজটি হাতে নেয়, তাহলে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত ডিসকাউন্ট নিতে পারবে, সে ক্ষেত্রে আদানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের নামে আনা কয়লার বাড়তি দাম নিতে পারবে না।