খুলনা | শুক্রবার | ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১৩ পৌষ ১৪৩১

ছয় মাসের মাথায় ক্ষমতাচ্যুত হলেন হাইতির প্রধানমন্ত্রী

খবর প্রতিবেদন |
০১:১৫ এ.এম | ১২ নভেম্বর ২০২৪


দায়িত্ব নেওয়ার ছয় মাস না পেরোতেই ক্ষমতাচ্যুত হলেন হাইতির প্রধানমন্ত্রী গ্যারি কনিল। ক্ষমতাসীন ট্রানজিশনাল প্রেসিডেনশিয়াল কাউন্সিলের (টিপিসি) এক নির্বাহী আদেশে বরখাস্ত করা হয়েছে কম সময় দায়িত্ব পালন করা এই প্রধানমন্ত্রীকে। নয় সদস্যের মধ্যে আট সদস্যের স্বাক্ষরিত এক নির্বাহী আদেশে কনিলের স্থলাভিষিক্ত করতে ব্যবসায়ী এবং হাইতির সিনেটের সাবেক প্রার্থী অ্যালিক্স দিদিয়ের ফিলস আইমের নাম ঘোষণা করেছে কাউন্সিল। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। 
এতে বলা হয়, হাইতির গ্যাং নেতৃত্বকে কেন্দ্র করে চলমান নিরাপত্তা সংকটের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন জাতিসংঘের সাবেক এই কর্মকর্তা কনিল। দেশটিতে ২০১৬ সাল থেকে এখন পর্যন্ত কোনো প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়নি। ফলত ধারণা করা হচ্ছিল কনিল প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পথ প্রশস্ত করতে কাজ করবেন। কিন্তু তার আগেই তাকে ক্ষমতাচ্যুত করা হল। এক চিঠিতে কনিল দাবি করেছেন, বরখাস্তের এই আদেশ অবৈধ। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেয়া এক চিঠিতে এই দাবি করেন তিনি। চিঠিতে কনিল দেশটির ভবিষ্যত নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। হাইতিতে বর্তমানে কোনো প্রেসিডেন্ট কিংবা পার্লামেন্ট নেই। হাইতির সংবিধান অনুযায়ী, একমাত্র পার্লামেন্টই ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রীকে বরখাস্ত করতে পারে। গত ৩ জুন হাইতির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন কনিল। তার চিঠিতে বলা হয়েছে, কনিলকে বরখাস্তের নির্বাহী আদেশ আইন ও সাংবিধান বহির্ভূত যার বৈধতা নিয়ে গুরুতর উদ্বেগ রয়েছে।
গত এপ্রিলে হাইতির ট্রানজিশনাল প্রেসিডেনশিয়াল কাউন্সিল গঠনের আগে কনিলের পূর্বসূরী অ্যারিয়েল হ্যানরি গ্যাংদের একটি নেটওয়ার্কের হাতে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিলেন। তখন ওই গ্যাংটি হাইতির রাজধানী পোর্ট অব প্রিন্সের বেশ কিছু অংশ নিয়ন্ত্রণে নেয়। ২০২৪ সালের ২৫ ফেব্র“য়ারি গায়ানায় এক সম্মেলনে যোগ দিতে দেশ ছাড়েন হ্যানরি। পরে গ্যাং-এর সদস্যরা শহরের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দখল করে নেন। পরে হ্যানরি আর দেশে ফিরতে পারেননি। ক্যারিবীয় এই দেশটিতে গণতান্ত্রিক শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে গঠিত হয়েছে টিপিসি। বিভিন্ন সশস্ত্র গ্যাং সদস্যদের উৎপাতে বারবার হুমকির মুখে পড়ছে দেশটির গণতন্ত্র। 
জাতিসংঘের হিসাব মতে, এ বছরের জানুয়ারি থেকে হাইতিতে বিভিন্ন সহিংসতায় সাড়ে তিন হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। এছাড়া ঘরবাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন পাঁচ হাজারের বেশি মানুষ। বিশ্বের দরিদ্রতম দেশগুলোর মধ্যে একটি হাইতি।