খুলনা | বৃহস্পতিবার | ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১২ পৌষ ১৪৩১

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

উপদেষ্টা পরিষদে আওয়ামী পুনর্বাসন মেনে নেয়া হবে না : হাসনাত

খবর প্রতিবেদন |
০১:১৮ এ.এম | ১২ নভেম্বর ২০২৪


সবচেয়ে বড় মশকরা হচ্ছে ছাত্রদের সঙ্গে। ছাত্রদের রক্তের ওপর আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পুনর্বাসন হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহŸায়ক হাসনাত আবদুল­াহ।
ছাত্র-জনতার মতামত না নিয়ে আওয়ামী ফ্যাসিবাদী চরিত্র ধারণ করে এমন কাউকে উপদেষ্টা পরিষদে মেনে নেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়কের। 
তিনি বলেন, জুলাই-আগস্টে যে ছাত্র-জনতা জীবন দিয়েছে, আহত হয়েছে তাদের চাওয়া বা আন্দোলনের চেতনার পরিপন্থি ব্যক্তিদের আমরা উপদেষ্টা পরিষদে দেখতে চাই না। সোমবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আয়োজিত সমাবেশে থেকে তিনি এই হুঁশিয়ারি দেন। 
এ সময় অন্তর্বর্তী সরকারে উপদেষ্টা হিসেবে নতুন করে যাদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে তাদের অবদান নিয়েও প্রশ্ন তুলেন হাসনাত আব্দুল্লাহ।
হাসনাত বলেন, ছাত্র-জনতার সঙ্গে মশকরা হচ্ছে। ধানমন্ডির ৩২ কে যারা কাবা মনে করে তাদের উপদেষ্টা করা হয়েছে। কার মদদে, প্রশ্রয়ে আওয়ামী পুনর্বাসনের এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে আমরা তা জানতে চাই। ফ্যাসিবাদের যারা দোসর, ’২৪ পরবর্তী বাংলাদেশে কোনো ফরম্যাটেই তাদের দেখতে চাই না। উপদেষ্টা হিসেবে যাদের নিয়োগ দিচ্ছেন গত ১৬ বছরে তারা কী করেছেন তার ইতিহাস আমরা জানতে চাই। 
তিনি বলেন, আমাদের হারাবার কিছু নাই। ৫ আগস্টের পর আমাদের বোনাস লাইফ।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহŸায়ক বলেন, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারকে নিরাপত্তা দিতে শিক্ষার্থীরা বারবার রাস্তায় নামবে না।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল কাদের বলেন, আমরা আগেই বলেছি ফ্যাসিবাদ মুক্ত বাংলা চাই। বাংলা থেকে ফ্যাসিবাদকে উচ্ছেদ করতে হবে। সেই সাথে তাদের দোসরদেরও উচ্ছেদ করতে হবে। ফ্যাসিবাদ মুক্ত করতে আমরা আবারও রাস্তায় নামতে বাধ্য হবো।
ছাত্র-জনতার অংশীদারত্ব বিহীন সিদ্ধান্তে উপদেষ্টা নিয়োগ এবং এতে ফ্যাসিবাদী দোসরদের স্থান দিয়ে শহিদের রক্তের অবমাননার অভিযোগে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে থেকে শুরু হয় এ কর্মসূচি। এ সময় শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, ছাত্র-জনতার অংশীদারিত্ব বিহীন সিদ্ধান্তে উপদেষ্টা নিয়োগের বিষয়টি কোনো ভাবেই মেনে নেবে না ছাত্রসমাজ।
এ সময় তারা বলেন, জুলাই-আগস্টে ফেসবুকে ২/১টা পোস্ট দিয়েই উপদেষ্টা হয়ে যাচ্ছেন, কীভাবে হচ্ছে সেটি বোঝা দরকার।
উত্তরবঙ্গের কোনো জেলার কেউ উপদেষ্টা নিয়োগ না পাওয়ার সমালোচনাও করেন আন্দোলনকারীরা। অবিলম্বে এমন নিয়োগ ছাত্র সমাজ মেনে নেবে না বলেও হুঁশিয়ারি শিক্ষার্থীদের।
প্রসঙ্গত রোববার বঙ্গভবনে শপথ নিয়েছেন নতুন তিন উপদেষ্টা। তারা হলেন-ব্যবসায়ী সেখ বশির উদ্দিন, চলচ্চিত্র পরিচালক মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম।