খুলনা | শনিবার | ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | ৯ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

গাজা ও লেবাননজুড়ে ইসরায়েলের ভয়াবহ হামলা, নিহত ১০৭

খবর প্রতিবেদন |
১২:৫৫ পি.এম | ১৩ নভেম্বর ২০২৪


ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ড ও লেবাননজুড়ে ভয়াবহ হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। এতে একদিনে কমপক্ষে ১০৭ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে গাজায় নিহত হয়েছেন ৬৩ ফিলিস্তিনি।

আর লেবাননে একদিনে ইসরায়েলি বর্বরতায় প্রাণ হারিয়েছেন আরও ৪৪ জন। বুধবার (১৩ নভেম্বর) পৃথক খবরে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা ও বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

আল জাজিরা বলছে, মঙ্গলবার ভোর থেকে গাজা জুড়ে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৬৩ জন নিহত হয়েছেন বলে মেডিকেল সূত্র আল জাজিরাকে জানিয়েছে। এছাড়া গাজার পশ্চিম দেইর আল-বালাহের আল নূর মসজিদের কাছে জনাকীর্ণ এলাকায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় কমপক্ষে আরও ছয়জন নিহত হয়েছেন।

এতে করে গত বছরের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৩ হাজার ৬৬৫ জনে পৌঁছেছে বলে মঙ্গলবার অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। এছাড়া এক বছরেরও বেশি সময় চলা এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও ১ লাখ ৩ হাজার ৭৬ ফিলিস্তিনি।

অন্যদিকে লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে যে অভিযান চালিয়েছে তাতে আরও ৪৪ জন নিহত এবং ৮৮ জন আহত হয়েছেন। এতে করে গত বছরের অক্টোবর থেকে চলা ইসরায়েলি হামলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩ হাজার ২৮৭ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ১৪ হাজারেরও বেশি মানুষ।

গত বছরের অক্টোবরে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকেই লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর সঙ্গে সংঘাত চলছে ইসরায়েলের। তবে গত সেপ্টেম্বর মাস থেকে হিজবুল্লাহর সঙ্গে ইসরায়েলের পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ শুরু হয়।

এরপর গত ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে রাজধানী বৈরুতের পাশাপাশি লেবাননজুড়ে ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর দাবি, সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর অপারেটিভস, অবকাঠামো এবং অস্ত্রাগারকে লক্ষ্য করে এই হামলা চলছে।

হিজবুল্লাহও পাল্টা আঘাত হানছে। লেবাননে অভিযানরত ইসরায়েলি সেনাসদস্যদের হত্যার পাশাপাশি ইসরায়েলের বেশ গভীরে সামরিক ঘাঁটিতে অত্যাধুনিক মিসাইল দিয়ে হামলা চালাচ্ছে শক্তিশালী এই সশস্ত্র গোষ্ঠীটি।

এমন অবস্থায় যুদ্ধ মধ্যপ্রাচ্যের বাইরে অনেক দূরেও ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে ইরান।