খুলনা | রবিবার | ২৪ নভেম্বর ২০২৪ | ৯ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

পাকিস্তানে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি না হলে পিসিবির কেমন আর্থিক ক্ষতি হবে?

ক্রীড়া প্রতিবেদক |
০২:১৫ পি.এম | ১৩ নভেম্বর ২০২৪


আগামী বছরের শুরুতেই আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজিত হওয়ার কথা। তবে আইসিসির এ ইভেন্টের আয়োজক পাকিস্তান হওয়ার কারণেই টুর্নামেন্টের ভবিষ্যৎ নিয়ে একধরনের শঙ্কা ছিল। গত বছর এশিয়া কাপের আয়োজক ছিল পাকিস্তান, কিন্তু দেশটিতে গিয়ে খেলতে ভারত আপত্তি জানালে তা অনুষ্ঠিত হয় হাইব্রিড মডেলে। এবারও ভারত বাবর আজমদের দেশে খেলতে রাজি হবে কি না তার নিশ্চয়তা ছিল না, তবে অবশেষে রোহিত শর্মাদের বোর্ড জানিয়েছে, পাকিস্তানে গিয়ে খেলবে না ভারত।

পাকিস্তানে গিয়ে টুর্নামেন্টে অংশ নিবে না, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড এমনটা জানানোর পর থেকেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ভবিষ্যৎ নিয়ে একধরনের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। বিসিসিআই চায় টুর্নামেন্ট আয়োজিত হোক হাইব্রিড মডেলে যেখানে ভারতের ম্যাচগুলো হবে সংযুক্ত আরব আমিরাতে।

তবে ভারতের প্রস্তাব মেনে নিতে রাজি নয় পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসবি)। প্রয়োজনে ভারতকে বাদ দিয়ে হলেও নিজ দেশেই পুরো টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে চার সংস্থাটি। এদিকে আইসিসি আবার পিসিবিকে অনুরোধ করেছে হাইব্রিড মডেলেই টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে। আর তা না করলে পুরো চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিই অন্য দেশে আয়োজন করবে বলেও জানিয়েছে আইসিসি।

পাকিস্তান থেকে সরিয়ে নেয়া হলে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে জানা গেছে। এমন অবস্থায় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ভবিষ্যতে কি হতে চলেছে তা এখনো নিশ্চিত নয়।

এদিকে পাকিস্তানে শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি না হলে বা এ টুর্নামেন্ট যদি স্থগিত হয় বা পাকিস্তান যদি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে না খেলে তাহলে বড় অঙ্কের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে পিসিবিকে।

আগামী বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ৯ মার্চ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে পাকিস্তানে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। এদিকে ক্রিকবাজের এক খবরে বলা হয়েছে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পাকিস্তান থেকে সরিয়ে নেয়া হলে বা টুর্নামেন্ট স্থগিত করা হলে আইসিসির নিষেধাজ্ঞা পেতে পারে পিসিবি।

আবার পাকিস্তান যদি টুর্নামেন্ট থেকে নাম প্রত্যাহার করে তাহলে আইসিসির ফান্ডিং বন্ধ হয়ে যেতে পারে পিসিবির। এছাড়া টুর্নামেন্ট অন্য দেশে সরিয়ে নেয়া হলে, টুর্নামেন্ট আয়োজক হিসেবে যে ৬৫ মিলিয়ন ডলার পাওয়ার কথা ছিল পিসিবির তা পাবে না সংস্থাটি। এছাড়া, এ টুর্নামেন্ট আয়োজনের জন্য লাহোর, রাওয়ালপিন্ডি ও করাচির তিন ভেন্যুতে উল্লেখযোগ্য রকমের সংস্কার কাজ করেছে পিসিবি। এসবের খরচও বইতে হবে পিসিবিকে।