খুলনা | বৃহস্পতিবার | ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৭ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

দিঘলিয়ায় সম্প্রীতির সমাবেশে হেলাল

নির্বাচন কবে হবে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অন্তরের কথা জনগণ জানতে চায়

দিঘলিয়া প্রতিনিধি |
০১:১৯ এ.এম | ২০ নভেম্বর ২০২৪


বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল বলেছেন, পতিত মাফিয়া সরকারের বিরুদ্ধে তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা ১৭ বছর রাজপথে আন্দোলন করেছি। বিএনপি’র চলমান আন্দোলনের সাথে একপর্যায়ে যুক্ত হয় বৈষম্যবিরোধী কোটা আন্দোলনকারী ছাত্ররা। একদিকে বিএনপি’র আন্দোলন অপরদিকে ছাত্রদের আন্দোলন যখন বন্দুকের নলের জোরে স্বৈরাচার হাসিনা সরকার নিবৃত্ত করার অপচেষ্টা করেছিলেন তখন তারেক রহমানের নেতৃত্বে দেশের সর্বস্তরের জনগণের অংশগ্রহণে জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা পালিয়ে যেতে বাধ্য হন।
বিএনপি নেতা বলেন বিএনপি’র হাজার হাজার নেতা-কর্মীর জীবনের বিনিময়ে আমরা দেশে অন্তর্বর্তীকালিন সরকার পেয়েছি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আমাদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত সরকার। আমরা চাচ্ছি ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকার অল্প সময়ের মধ্যে দেশে একটি সুষ্ঠু ভোটে নির্বাচিত সরকার উপহার দিবেন। কিন্তু সরকারের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা মাফিয়া সরকারের দোসর কয়েকজন উপদেষ্টা কথিত সংস্কারের নামে কাল ক্ষেপন করছেন। শুধু তাই নয় স¤প্রতি ড. ইউনূসের দেয়া বক্তব্যেও জাতীয় নির্বাচনের সুস্পষ্ট কোন কিছু ছিলো না। এদেশের জনগণ জাতীয় নির্বাচন কবে হবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অন্তরের কথা জানতে চায়। 
মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টায় দিঘলিয়া উপজেলা বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে তারেক রহমানের ৩১ দফার আলোকে সাম্য ও মানবিক সমাজ বির্নিমাণে সেনহাটি শিববাড়ি মাঠে অনুষ্ঠিত স¤প্রীতির সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 
তিনি বলেন, আমরা দেখেছি দিঘলিয়ায় এক সময়ে শিল্প কারখানা ছিলো-এ অঞ্চলের মানুষের ঘুম ভাঙ্গতো মিলের হুইসেলের শব্দে। এখন এ অঞ্চল মৃতপুরীতে পরিণত হয়েছে। শুধু দিঘলিয়াই নয় খুলনার অনেক মিল-কল কারখানা বন্ধ হয়েছে ভোট চোর সরকারের দুর্নীীতর কারণে। ড. ইউনুস সরকারের ওপর বিএনপি’র শতভাগ সর্মথন রয়েছে। ইউনূস সরকারের ব্যর্থতা মানে বিএনপি’র ব্যর্থতা। ইউনুস সরকারের উচিত হবে জনগণের মধ্যে আস্থা ও বিশ্বাস সৃষ্টি করা। 
উপজেলা বিএনপি আহবায়ক সাইফুর রহমান মিন্টুর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আব্দুর রকিব মলি­কের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন খুলনা মহানগর বিএনপি’র সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন,  জেলা বিএনপি’র সাবেক আহবায়ক আমির এজাজ খান, সাবেক সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পি, সাবেক যুগ্ম আহবায়ক আবু হোসেন বাবু ও  অধ্যাপক মনিরুল হক বাবুল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান রুনু, সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান রুনু, শরীফ মোজাম্মেল হোসেন, শরীফ ইকবাল হোসেন, গাজী জাকির হোসেন, পারবেজ সাজ্জাদ বাবলা, শেখ মোসলেম উদ্দিন, শেখ আসাদুজ্জামান, সেতেরা সুলতানা, রিনা পারভিন, সালমা বেগম, পলি মেম্বর, আলেয়া পারভিন, খন্দকার ফারুক হোসেন, আব্দুল কাদের জনি, মামুন রেজা অপু, তৈয়েব মোল্লা, মোহাম্মদ আলী টুটুল প্রমুখ।