খুলনা | রবিবার | ২৪ নভেম্বর ২০২৪ | ৯ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

জয়ের নাম মুখে আনতে চাই না: শফিক রেহমান

খবর প্রতিবেদন |
০২:০৪ পি.এম | ২১ নভেম্বর ২০২৪


সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তার তথ্যপ্রযুক্তি-বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের নাম মুখে উচ্চারণ করতে চান না প্রবীণ সাংবাদিক শফিক রেহমান।

জয়কে অপহরণ ও হত্যার পরিকল্পনার অভিযোগে করা মামলায় জামিন পাওয়ার পর সাংবাদিকদের সামনে এমন মন্তব্য করেন তিনি। জয়কে হত্যাচেষ্টা মামলায় বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত শফিক রেহমানের জামিন মঞ্জুর করেন।

পরে সাংবাদিকদের শফিক রেহমান বলেন, জয়ের নামও উচ্চারণ করতে চাই না। জয় কী করে, কেন আমেরিকা গেল তা খুঁজে বের করুন।

তিনি বলেন, আমাকে এই মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি দিতে হবে। বিএনপির যারা জেলে আছে তাদেরকেও এক ঘোষণায় খালাস করে দিতে হবে।

অন্তর্র্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে কাজ করতে সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে শফিক রেহমান বলেন, তাকে (ইউনূস) যেতে দেবেন না, ধরে রাখুন। কাজ করার সুযোগ দিন। ১৫ বছরের জঞ্জাল ১৫ দিনে যাবে না।

আলোকচিত্রী ড. শহিদুল আলমকে উপদেষ্টা হিসেবে বিবেচনা করার আহ্বান জানান তিনি।

এর আগে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে করা মামলায় শফিক রেহমানকে দেয়া আদালতের দণ্ডাদেশ স্থগিত করা হয়।

গত ২২ সেপ্টেম্বর শফিক রেহমানের সাজা এক বছরের জন্য স্থগিত করে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এজন্য তাকে আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হবে। আদালতে আত্মসমর্পণ করে আপিল দায়েরের শর্তে এ সাজা এক বছরের জন্য স্থগিত করা হয়।

পরে ৩০ সেপ্টেম্বর শফিক রেহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা প্রত্যাহার করেন আদালত। ওইদিন ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুল হকের আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। শুনানি শেষে বিচারক শফিক রেহমানের বিরুদ্ধে জারি হওয়া গ্রেফতারি পরোয়ানা প্রত্যাহার করেন। একইসঙ্গে সাজা পরোয়ানা রিকল করেন।

২০১৫ সালের ৩ আগস্ট রাজধানীর পল্টন থানায় পুলিশের করা এ মামলায় ২০১৬ সালের ১৬ এপ্রিল গ্রেফতার হয়েছিলেন শফিক রেহমান। পাঁচ মাস কারাগারেও থাকতে হয়েছিল তাকে। পরে জামিনে মুক্তি পেয়ে ২০১৮ সালে যুক্তরাজ্যে চলে যান তিনি। দীর্ঘ ছয় বছর কারাভোগ শেষে ১৮ আগস্ট দেশে ফেরেন সিনিয়র এই আইনজীবী।