খুলনা | শুক্রবার | ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৮ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

কুশল বিনিময়ে প্রধান উপদেষ্টা ছাত্র আন্দোলনের নেতারা

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া

খবর ডেস্ক |
০১:০৫ এ.এম | ২২ নভেম্বর ২০২৪


বিএনপি’র চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে সেনাকুঞ্জে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন। বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা ৩৫ মিনিটে তিনি ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে পৌঁছান।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানিয়েছে, খালেদা জিয়া সেনাকুঞ্জে পৌঁছালে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান এবং বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন তাঁকে অভ্যর্থনা জানান।
এর আগে বেলা সাড়ে তিনটার দিকে খালেদা জিয়া গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’ থেকে সেনাকুঞ্জের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্যে রওনা হন। ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান তাঁর সঙ্গে ছিলেন।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিএনপি’র মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, খালেদা জিয়া সেনাকুঞ্জে পৌঁছে তাঁর আসনে বসার পর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস তাঁর সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।
আগেই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে পৌঁছান বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। খালেদা জিয়াকে অনুষ্ঠানে দেখে তিনি কেঁদে ফেলেন।
সেনাকুঞ্জের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে গণফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ড. কামাল হোসেন, বিএনপি নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও আবদুল মঈন খানসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যরাসহ বিভিন্ন দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিএনপি’র চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। এ সময় ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও স¤প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। 
এর আগে বুধবার বিএনপি’র মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান সাংবাদিকদের জানান সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে সেনাকুঞ্জের অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।
২০১০ সালের ১৩ নভেম্বর খালেদা জিয়াকে তার পরিবারের দীর্ঘ ৪০ বছরের স্মৃতি বিজড়িত ঢাকা সেনানিবাসের শহিদ মইনুল রোডের বাড়ি থেকে এক কাপড়ে টেনেহিঁচড়ে জবরদস্তি করে বের করে দেয়া হয়েছিল। বৃহস্পতিবার সেই সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে যান তিনি।
এদিকে ২০১৮ সালের পর এই প্রথম বিএনপি চেয়ারপারসন প্রকাশ্য কোনো কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবেন। এর আগে তিনি ২০১৮ সালের ৫ ফেব্র“য়ারি সব শেষ সিলেট সফর করেন। এছাড়া ২০১২ সালে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে সেনাকুঞ্জের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।
এর আগে গত মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) রাতে সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ লেঃ জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেঃ জেনারেল এএসএম কামরুল আহসান আমন্ত্রণপত্রটি বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে পৌঁছে দেন।
এদিকে, খালেদা জিয়া ছাড়াও বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ সিনিয়র ২৬ জন নেতাও সশস্ত্র বাহিনী দিবস অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ জানানো হয়। ২০০৯ সালের পর এবারই প্রথম বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকেও আমন্ত্রণ জানানো হলো।