খুলনা | রবিবার | ২৪ নভেম্বর ২০২৪ | ১০ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

রাহুলের চেয়েও বড় ব্যবধানে ওয়েনাডে জিতলেন প্রিয়াঙ্কা

খবর প্রতিবেদন |
০১:১৭ এ.এম | ২৪ নভেম্বর ২০২৪


মা সোনিয়া ও বড় ভাই রাহুলের মতো এবার সংসদ সদস্য হতে চলেছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও। ভারতের কেরালা রাজ্যের ওয়েনাড লোকসভা কেন্দ্রের উপ-নির্বাচনে সিপিআই ও বিজেপি প্রার্থীদের অনেক পেছনে ফেলে জয়ী হয়েছেন তিনি।
লোকসভা ভোটে উত্তর প্রদেশের রায়বেরিলি ও কেরালার ওয়েনাড দুই কেন্দ্র থেকেই জয়ী হয়েছিলেন রাহুল। পরে ওয়েনাড কেন্দ্রটি ছেড়ে দিলে সেখানে উপ-নির্বাচনে জীবনে প্রথমবার ভোটপ্রার্থী হন প্রিয়াঙ্কা।
প্রিয়াঙ্কার জয় নিয়ে কখনো কোনো সংশয় ছিল না। তবে আগ্রহ ছিল, রাহুলের চেয়ে বেশি ভোট পেয়ে বেশি ব্যবধানে তিনি জেতেন কি না। আজ শনিবারের গণনায় দেখা যাচ্ছে, বিকেল চারটার সময় প্রিয়াঙ্কা তার দুই নিকট প্রতিদ্ব›দ্বীর চেয়ে ৪ লাখের বেশি ব্যবধানে এগিয়ে।
এই বছরের জুনে লোকসভা ভোটে রাহুল পেয়েছিলেন ৬ লাখ ৪৭ হাজার ভোট। তার জয়ের মার্জিন ছিল ৩ লাখ ৬৪ হাজার। বিকেল চারটা পর্যন্ত প্রিয়াঙ্কা পেয়েছেন ৬ লাখ ১৮ হাজার ভোট। যদিও নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী সিপিআইয়ের সত্যেন মোকেরির চেয়ে তিনি এগিয়ে গেছেন ৪ লাখের বেশি ভোটে। জয় নিশ্চিত হওয়ার পর ‘এক্স’ মারফত প্রিয়াঙ্কা বলেন, এই জয়ে আমি অভিভূত। সংসদে আপনাদের আওয়াজ আমি পৌঁছে দেব। আপনাদের আশা ও স্বপ্নপূরণে আপনাদের হয়ে লড়াই করব।
ওয়েনাড ছাড়াও লোকসভার উপ-নির্বাচন হয় মহারাষ্ট্রের নানদেদ আসনে। কংগ্রেস প্রার্থী চবন বসন্তরাও বলবন্তরাওয়ের মৃত্যুর জন্য উপনির্বাচন হয়। বিকেল চারটায় দেখা যায়, কংগ্রেস প্রার্থী চবন রবীন্দ্র বসন্তরাওকে ২ হাজার ভোটে পিছিয়ে দিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী সান্তুকরাও হামবরদে।
লোকসভা ছাড়াও ভোট হয় ১৪ রাজ্যের ৪৭ বিধানসভা আসনের। রাজ্যগুলোর মধ্যে উলে­খযোগ্য ছিল উত্তর প্রদেশের ৯ আসনের উপ-নির্বাচন। ওই রাজ্যে লোকসভা ভোটে বিজেপির ফল খুব খারাপ হয়েছিল। ফলে যোগী প্রশাসনের কাছে এই উপ-নির্বাচন ছিল চ্যালেঞ্জের। ৯ আসনের মধ্যে বিজেপির দখলে ছিল ৫টি, সমাজবাদী পার্টির ৩টি এবং ১টি ছিল আরএলডির দখলে। বিকেল পর্যন্ত গণনায় দেখা যাচ্ছে, জেতা আসন ধরে রাখার পাশাপাশি সমাজবাদী পার্টির কাছ থেকে একটি আসন বিজেপি ছিনিয়ে নিতে চলেছে।
পাঞ্জাবে উপ-নির্বাচন ছিল ৪ আসনে। সেখানে ৩টি আসনে জয়ী হয়েছে আম আদমি পার্টি, ১টিতে কংগ্রেস। কর্ণাটকে ৩ আসনে কংগ্রেসের প্রতিদ্ব›দ্বী ছিল বিজেপি। কিন্তু সেখানে ৩ আসনই কংগ্রেস জিতেছে। তবে আসামে কংগ্রেস তার একটি জেতা আসন হারিয়েছে। ওই রাজ্যের ৫ আসনেই জয়ী হয়েছে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ।
বিহারের ৪ আসনও গেছে এনডিএর দখলে। যদিও বিজেপি শাসিত রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস একটা করে আসন জিতেছে। উত্তরাখন্ড, ছত্তিশগড় ও গুজরাটে একটি করে আসনে ভোট ছিল। ওই তিন বিজেপি শাসিত রাজ্যের তিন আসনই বিজেপি দখলে রেখেছে। কেরালার দুই আসনের একটি জিতেছে কংগ্রেস, অন্যটি সিপিএম।
বিজেপি প্রবল ধাক্কা খেয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। সেখানে ৬ আসনের উপ-নির্বাচনের সবক’টিই জিতেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপির জেতা একটি আসন তারা ছিনিয়ে নিয়েছে। বোঝা গেল আর জি কর হাসপাতালের ঘটনাবলি তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ভোটবাক্সে কোনো প্রভাব ফেলেনি।