মোংলার এক নারীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক নারীর বিরুদ্ধে। সোমবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে পৌর শহরের মাকড়ঢোন এলাকায় এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। তবে এখনও এ হত্যার সাথে জড়িত তন্ময়কে আটকের অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।

নিহতের পরিবার ও পুলিশ জানায়, সোমবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে পৌর শহরের মেছের শাহ সড়কের বাসিন্দা সুনীল মল্লিকের বাড়ীতে যান একই এলাকার মাইকেল মধুসূদন সড়কের বাসিন্দা তন্ময় মন্ডল (৩৫)। তন্ময় ওই বাড়ীতে ঢুকে বাড়ীর মালিক সুনিলকে খুজতে থাকেন বলে দাবী পরিবারের। পরে সুনিলে স্ত্রী সুনিল বাড়িতে নেই বলে জানায়। সুনিল মল্লিক বাড়ীতে না থাকায় ফিরে আসার সময় সুনিল মল্লিকের স্ত্রী সবিতা মল্লিক লাইট দিয়ে রাস্তায় এগিয়ে দেয়ার জন্য অনুরোধ জানালে তখন সবিতা মল্লিক তাকে এগিয়ে দিতে যান। এগিয়ে দিতে বাড়ীর পুকুর পাড় পর্যন্ত গেলেই তন্ময় তাকে দা দিয়ে কুপিয়ে পাশের ডোবায় ফেলে দেন বলে দাবী পরিবারের। এরপর সেখান থেকে আবারো ফিরে সুনীলের বাড়ীতে গিয়ে তাদের কলেজ পড়ুয়া মেয়ে হ্যাপী মল্লিক (২৫)কেও মারধর করতে থাকেন এবং তাকেও গলা টিপে হত্যার চেষ্টা করেন তন্ময় বলে জানায় হ্যাপি মল্লিক। পরে তার ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসতে থাকলে তন্ময় ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। স্থা

নীয়রা ও আহত হ্যাপী তার মাকে খুজতে গিয়ে ডোবায় পড়ে থাকতে দেখেন। এসময় প্রতিবেশীদের সহায়তায় তিনি তার মাকে (সবিতা) উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডাঃ মৌসুমি ইয়াছমিন বলেন, রক্তক্ষরণ হয়ে অন্যথায় পানিতে ফেলা দেয়ায় ডুবে ঘটনাস্থলে কিংবা পথে তার মৃত্যু হয়েছে।

অভিযুক্ত তন্ময় মাকড়ঢোনের কালিপদ মন্ডল ওরফে কালুর ছেলে। তন্ময় পেশায় একজন ইজিবাইক চালক। তবে এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় স্থানীয়রা ও পুলিশ সুনিশ্চিত কোন তথ্য জানাতে পারেনি।

এ ব্যাপারে মোংলা থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ আনিসুর রহমান বলেন, এটা নিশ্চিত একটি হত্যাকান্ড। ঘাতককে গ্রেফতারের জন্য আমরা মাঠে রয়েছি। তবে প্রাথমিকভাবে এ হত্যাকান্ডের কোন রহস্য বের করা যায়নি। হত্যাকারীকে গ্রেফতার করা গেলে মুল রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হবে বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।