খুলনা | বুধবার | ২৭ নভেম্বর ২০২৪ | ১৩ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

চীন, মেক্সিকো ও কানাডার পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্কারোপের ঘোষণা ট্রাম্পের

খবর প্রতিবেদন |
০২:৫০ পি.এম | ২৬ নভেম্বর ২০২৪


প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয়বার শপথ নিয়ে মেক্সিকো, চীন ও কানাডা থেকে পণ্য আমদানিতে শুল্ক চাপানোর ঘোষণা ট্রাম্পের। নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে সোমবার (২৫ নভেম্বর) দেওয়া এক পোস্টে এ কথা জানান নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

ট্রাম্পের ভাষ্য, এখনও মেক্সিকোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের খোলা সীমান্ত আছে। আর সেখান দিয়ে অবৈধভাবে মাদক ঢুকছে। অভিবাসনপ্রত্যাশীরাও অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকছে। এ ঘটনা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত কানাডা, মেক্সিকো ও চীন থেকে আনা সমস্ত পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ হারে শুল্ক বসানো হবে।

ট্রাম্প ওই পোস্টে বলেন, ‘২০ জানুয়ারি অফিসে ঢুকেই বেশ কয়েকটি নির্বাহী আদেশে সই করব। তার মধ্যে অন্যতম কানাডা, মেক্সিকো ও চীন নিয়ে আমার সিদ্ধান্ত। ওই তিন দেশ থেকে যেসব পণ্য আসবে, তার ওপর ২৫ শতাংশ হারে শুল্ক দিতে হবে।’

চীন বিষয়ে ট্রাম্পের বক্তব্য হলো, চীন থেকে মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে বিপুল অবৈধ মাদক যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকছে। চীনকে এ বিষয়ে একাধিকবার বলা সত্ত্বেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এজন্য চীনের ওপর আরও ১০ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক চাপানো হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

আগামী ২০ জানুয়ারি ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে হোয়াইট হাউসে বসতে যাচ্ছেন। শুরু হবে তার নতুন সরকারের পথচলা।

পূর্বপরিকল্পিত সিদ্ধান্ত
নির্বাচনি প্রচারের সময়েই এ বিষয়ে একাধিকবার সরব হয়েছিলেন ট্রাম্প। ক্ষমতায় এলে তিনি যে এই তিন দেশ থেকে আমদানিকৃত পণ্যের ওপর শুল্ক চাপাতে পারেন, তার ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছিলেন ট্রাম্প। তিনি মনে করেন, দেশীয় পণ্যের চাহিদা বাড়াতে গেলে বিদেশি পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক চাপানো প্রয়োজন। আর এক্ষেত্রে ট্রাম্প সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন চীনকে। তার নতুন ঘোষণা বাস্তবায়িত হলে চীনের পণ্যের ওপর প্রায় ৬০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক ধার্য হবে। ট্রাম্পের প্রথম শাসনকালেও এতটা শুল্ক চীনের পণ্যের ওপর ছিল না।

মেক্সিকো-কানাডা
প্রথমবার সরকারে এসে মেক্সিকো ও কানাডার পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক চাপিয়েছিলেন ট্রাম্প। প্রত্যুত্তরে কানাডাও যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর শুল্ক ধার্ষ করেছিল। তবে ২০২০ সালে মেক্সিকো-কানাডাকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র একটি বাণিজ্য চুক্তি করেছিল। ইউএসএমসিএ নামক ওই চুক্তিতে ঠিক হয়েছিল, এই তিন দেশের মধ্যে সমস্ত পণ্য শুল্ক ছাড়াই যাতায়াত করতে পারবে। ট্রাম্পের মধ্যস্থতাতেই এই চুক্তি হয়েছিল। কোভিডের সময় ট্রাম্পই এই চুক্তি করতে চেয়েছিলেন।

ট্রাম্পের নতুন ঘোষণার পর মেক্সিকো ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার। তাদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য সম্পর্ক ইউএসএমসিএর অন্তর্ভুক্ত। ট্রাম্পকে নতুন করে শুল্ক বসাতে হলে চুক্তি ভাঙতে হবে।