খুলনা | শুক্রবার | ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১৩ পৌষ ১৪৩১

তালা হাসপাতালে নারীর মৃত্যু নিয়ে রহস্য

তালা প্রতিনিধি |
০১:২৬ পি.এম | ০১ ডিসেম্বর ২০২৪


নানাবিধ শারীরিক সমস্যায় মারাত্মক অসুস্থ হওয়া স্ত্রী ছায়রা বেগম (৪৫) কে তালা হাসপাতালে ভর্তি করেন স্বামী পরিচয়ধারী জাহাঙ্গীর আলম নামক এক ব্যক্তি। হাসপাতালে ভর্তির সময় পড়ে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হন তিনি। এরপর রক্ত বমি শুরু হলে স্বামী পরিচায়ধারী জাহাঙ্গীর আলম ওষুধ আনতে গিয়ে আর ফেরেননি।
গত ৫ ডিসেম্বর রাত ৮টায় তালা সরকারি হাসপাতালে এমন ঘটনা ঘটে। তার কিছুক্ষণ পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় ছায়রা বেগম। তারপর থেকে হাসপাতালে পড়ে ছিলো মরদেহটি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পরিবারের সদস্যদের মৃত্যুর খবর দেওয়া জন্য ভর্তির সময় নথিতে দেয়া তার মোবাইল নম্বরটিতে যোগাযোগ করলে সেটিও বন্ধ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় জন্ম হয় রহস্যর। প্রশ্ন আসে এটা স্বাভাবিক মৃত্যু নাকি অপমৃত্যু!  
জানা গেছে, দীর্ঘদিন যাবত ডুমুরিয়া উপজেলার নরনিয়া গ্রামের বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলমের সাথে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে পাইকগাছা থানাধীন শ্রীরামপুর গ্রামে বসবাস করে আসছিলেন নিঃসন্তান ছায়রা বেগম। মরদেহের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিলে মৃত্যুর পরদিন তার বোন মনোয়ারা বেগম হাসপাতালে আসেন লাশ নিতে। তবে নানান জটিলতা থাকার কারণে দাফনের জন্য লাশটি নিতে পারেননি। অপর দিকে মৃত্যুর খবর শুনে হাসপাতালে যায় থানা পুলিশ। মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে ঘোলাটে থাকায় লাশ হস্তান্তর করেননি তারা। স্বভাবিক মৃত্যু না কি অন্য কোন রহস্য রয়েছে তা ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হবে বলে জানা যায়।
তালা থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ শাহিনুর রহমান বলেন, ছায়রা বেগমের মৃত্যুর ঘটনা শুনে হাসপাতালে যান তিনি। ডাক্তার ধারণা করেছেন স্ট্রোকজনিত মৃত্যু। তবে বিষয়টি ঘোলাটে থাকায় এবং আসল ঘটনা উদঘাটনে ময়নাতদন্তের জন্য শনিবার লাশ মর্গে পাঠানো হবো। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে জানতে পারবো স্বাভাবিক মৃত্যু নাকি অন্য কারণ রয়েছে।