খুলনা | শুক্রবার | ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১২ পৌষ ১৪৩১

হেড-কামিন্সের তোপে ১০ উইকেটে হারল ভারত

ক্রীড়া প্রতিবেদক |
০৭:২৫ পি.এম | ০২ ডিসেম্বর ২০২৪


বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠতে ভারত-অস্ট্রেলিয়া উভয়ের জন্য বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির তাৎপর্য অনেক। পার্থে প্রথম টেস্ট জিতে আগেই রোমাঞ্চের আভাস দিয়ে রেখেছিল ভারত। তবে অ্যাডিলেডের পিঙ্ক টেস্টে দেখা গেল উল্টো চিত্র। প্রথম ইনিংসে মিচেল স্টার্ক এবং দ্বিতীয় ইনিংসে প্যাট কামিন্সের বোলিং তোপে পড়ে মাত্র ১৯ রানের লক্ষ্য দেয় ভারত। যা ১০ উইকেট হাতে রেখেই পেরিয়েছে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া।

মাত্র তিনদিনেই শেষ হলো দিবারাত্রির এই টেস্ট, যেখানে দুই দল খেলেছে মাত্র ১০৩১ বল। ভারত-অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি টেস্টে এটি সর্বনিম্ন। গতকাল (শনিবার) টেস্টের দ্বিতীয় দিনেই মূলত ভারতের হাত থেকে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় ম্যাচটি। ১২৮ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে তারা দিন শেষ করে। আজ তৃতীয় দিনে খেলতে নেমে ১৭৫ রানে অলআউট হয় রোহিত শর্মার দল। কিন্তু প্রথম ইনিংসে অজিরা ১৫৭ রানের লিড নেওয়ায় তাদের পুঁজিটা দাঁড়ায় মাত্র ১৮ রানের।

মাত্র ১৯ রানের লক্ষ্য তাড়ায় অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনারের যে বেগ পাওয়ার কথা নয়, তারা খেলেছেন কেবল ২০ বল। নাথান ম্যাকসুইনি ১০ ও উসমান খাজা ৯ রানে অপরাজিত থেকে জয় নিশ্চিত করেছেন। ১০ উইকেটের বিশাল জয়ে সিরিজে সমতা ফেরাল প্যাট কামিন্সের দল। এই জয়ে অবশ্য বড় ভূমিকা রয়েছে ট্রাভিস হেডেরও। ভারতের বিপক্ষে সবসময়ই জ্বলে ওঠা এই আগ্রাসী ব্যাটারের ১৪০ রানের সুবাদেই স্বাগতিকরা বড় লিড পায়।

অ্যাডিলেডে সবসময়ই পিঙ্ক টেস্ট আয়োজন করে আসছে অস্ট্রেলিয়া। সিরিজে সমতা ফেরানোর লক্ষ্যে ম্যাচটি তাদের জন্য এমনিতেও বিশেষ। প্রথম ইনিংসে স্টার্কের বোলিং তোপে ভারত গুটিয়ে যায় মাত্র ১৮০ রানে। ৪৮ রানে স্টার্ক একাই নেন ৬ উইকেট, যা টেস্টে তার ক্যারিয়ারসেরা বোলিং ফিগার। নিশ্চিতভাবেই যে ভারত বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে যাচ্ছে সেটি প্রথম ইনিংসেই টের পাওয়া গিয়েছিল।

পরবর্তীতে নিজেদের প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া তোলে ৩৩৭ রান। ভারতের সংগ্রহ পেরিয়ে তাদের লিড দাঁড়ায় ১৫৭ রানের। অবশ্য লিড নেওয়ার মূল অবদানটা অজি ব্যাটার ট্রাভিস হেডের। জাসপ্রিত বুমরাহ’র বোলিং তোপে ১০৩ রানেই তারা ৩ উইকেট হারিয়ে বসে। এরপর ৬৫ রানের জুটি গড়েন হেড ও মার্নাস লাবুশেন। ১২৬ বলে লাবুশেন ৬৪ রান করে আউট হলেও, হেড একপ্রান্ত আগলে রাখেন। সতীর্থদের যাওয়া-আসার মিছিলে তিনিই ছিলেন ব্যতিক্রম। শেষ পর্যন্ত ১৪১ বলে ১৭টি চার ও ৪টি ছক্কায় তিনি ১৪০ রানে থামেন।

ভারতের পক্ষে প্রথম ইনিংসে ৪টি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ সিরাজ ও মোহাম্মদ শামি। অজিদের লিড পেরিয়ে জয়ের জন্য পর্যাপ্ত লক্ষ্য দিতে ভারতীয় ব্যাটারদের দায়িত্বটাও ছিল বড়। কিন্তু অজিদের লিড পেরোনোর আগেই ৮ উইকেট হারিয়ে বসেন রোহিত-কোহলিরা। বলার মতো (৪২) রান করেছেন কেবল নিতীশ কুমার রেড্ডি। অবশ্য রেড্ডির সান্ত্বনাদায়ক ব্যাটিং না থাকলে, ইনিংস ব্যবধানে হারতে হতো ভারতকে। লোকেশ রাহুলকে ওপেনিংয়ে সুযোগ করে দিতে মিডল অর্ডারে নেমেছিলেন রোহিত। তারা দুজনেই ব্যর্থ হয়েছেন, রান পাননি বিরাট কোহলিও।

দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে সর্বোচ্চ ৫ উইকেট নিয়েছেন অধিনায়ক কামিন্স। এ ছাড়া স্কট বোল্যান্ড ৩ এবং স্টার্ক ২ উইকেট শিকার করেছেন। তবে বোলারদের ছাপিয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছেন হেড।