খুলনা | শুক্রবার | ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১৩ পৌষ ১৪৩১

মণিরামপুরে সাবেক পুলিশ কর্তাসহ আ’লীগের অর্ধশত নেতা-কর্মীর নামে হত্যা মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর |
০৫:১৮ এ.এম | ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪


যশোরের মণিরামপুরের খেদাপাড়ার মোন্তাজ আলীকে অপহরণ ও হত্যার অভিযোগে পুলিশ কর্মকর্তাসহ আওয়ামী লীগের ৫০ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে যশোর আদালতে মামলা হয়েছে। রোববার নিহতের ছেলে ইন্তাজুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাশেদুর রহমান অভিযোগের ঘটনায় থানায় কোন মামলা হয়েছে কিনা প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন মণিরামপুর থানার ওসিকে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী এম এ গফুর।  
আসামিরা হলো, মণিরামপুরের খেদাপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির সাবেক এসআই আইন উদ্দিন, কনস্টেবল মিন্টু হোসেন, গাঙ্গুলিয়া গ্রামের আ’লীগ নেতা আলাউদ্দিন লিটন, হেলাঞ্চী গ্রামের আব্দুল আলিম জিন্নাহ, সিদ্দিকুর রহমান, হাবিবুর রহমান, আব্বাস সরদার, মাহাবুবুর রহমান মনা, অশোক মলি­ক, রনি, রামনাথপুর গ্রামের মিজানুর রহমান, মকবুল হোসেন, খেদাপাড়া গ্রামের আলমগীর হোসেন, তারকনাথ, পরিমল পাল, সাধন, ইকবাল হোসেন, জুয়েল, টিটু ফকির, রাকিব হোসেন, মহসিন ওরফে জয়নাল, দেবব্রত,  কাঁঠালতলা গ্রামের আবুল হোসেন, চাকলা গ্রামের আফজাল খা, খড়িঞ্চি গ্রামের ডাবলু, শামসুর রহমান, রাজা, জামালপুর গ্রামের কামাল হোসেন, মিকাইল, দিঘীরপাড়া গ্রামের এমদাদুল সরদার, আমিন হোসেন, মোবারকপুর গ্রামের রুবেল হোসেন, কেসমত, খায়রুল, আজিবর রহমান, কোদলাপাড়া গ্রামের মতিয়ার রহমান, শহিদুল ইসলাম, গালদা গ্রামের আশরাফুল, লক্ষীকান্তপুর গ্রামের মখলেসুর রহমান, পারখাজুরা গ্রামের সরোয়ার, কাশিপুর গ্রামের ফারুক হোসেন, খড়িঞ্চি গ্রামের মোস্তফা, কাজল,  গরীবপুর গ্রামের হাসেম, চাঁদপুর গ্রামের সাগর, রুপসপুর গ্রামের ইরশাদ আলী,  চন্দ্রপুর গ্রামের কামাল হোসেন ও ঝিকরগাছার মহিনীকাঠি গ্রামের আফতাব আলী। 
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ৯ জুন সকালে মোন্তাজ আলী গাঙ্গুলিয়া গামের আমতলায় শামছুদ্দিনের সেলুনে চুল কাটাতে যান। সেলুনে চুল কাটা অস্থায় খেদাপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির সাবেক এসআই আইন উদ্দিন ও কনস্টেবল মিন্টু হোসেনর সহযোগিতায় অপর আসামিরা মোন্তাজ আলীর উপর হামালা করে। একপর্যায়ে আসামি এসআই আইন উদ্দিন ও কনস্টেবল মিন্টু হোসেন অস্ত্রের মুখে মোন্তাজ আলীকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ সংবাদ পেয়ে মোন্তাজ আলীর স্বজনরা অনেক খোঁজাখুঁজি করে তাকে উদ্ধারে ব্যর্থ হয়। ১৪ জুন সকালে অপহৃত মোন্তাজ আলীর ভাই ইছাহক আলী সংবাদ পান তার লাশ যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে আছে। মোন্তাজ আলীর স্বজনেরা হাসপাতালের মর্গে এসে দেখে তার মাথার পিছনে ও বাম চোখে গুলি করা হয়েছে। এছাড়া নিহতের গায়ে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আসামিরা প্রভাবশারী হওয়ায় এ ঘটনার পর তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা সম্ভব হয়নি। বর্তমানে পরিবেশ অনুক‚লে আসায় তিনি আদালতে এ মামলা করেছেন।