খুলনা | শুক্রবার | ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১৩ পৌষ ১৪৩১

বইছে শৈত্যপ্রবাহ, দু’দিনের মধ্যে ছড়াতে পারে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে

খবর ডেস্ক |
০৪:২৩ পি.এম | ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪


হেমন্তের শেষ মুহূর্তে সারাদেশে শীতের প্রকোপ বেড়েছে। এরই মধ্যে দেশের তিন জেলায় বইছে শৈত্যপ্রবাহ। এটি দুইদিনের মাথায় দেশের উত্তরাঞ্চল থেকে শুরু করে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এছাড়া সারাদেশে কোথাও কোথাও ঘন-কুয়াশা পড়তে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
এদিকে এবার শীত অন্যান্য বছরের তুলনায় বেশি হতে পারে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা। অতিবৃষ্টির কারণে শীত তীব্র হওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন আবহাওয়াবিদরা।
অন্যদিকে ঘন কুয়াশা ছাড়াও শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে। শুক্রবার মন পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
সহকারী আবহাওয়াবিদ আফরোজা সুলতানা জানিয়েছেন, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের শ্রীলঙ্কা উপকূলে অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি দুর্বল হয়ে লঘুচাপে পরিণত হয়েছে এবং গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, এর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়টি পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। পঞ্চগড়, রাজশাহী ও চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে।
রোববার (১৫ ডিসেম্বর) অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়তে পারে।  বর্ধিত পাঁচ দিনের আবহাওয়ায় তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে।  
এদিকে শীতের তীব্রতা বেড়ে চলেছে। উত্তরের জেলাগুলোতে ১০ থেকে ১২ ডিগ্রির মধ্যে নেমে আসছে রাতের তাপমাত্রা।
আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বলেন, এ শৈত্যপ্রবাহ তিনদিন স্থায়ী হতে পারে। ১৬ ডিসেম্বরের পর তাপমাত্রা বাড়তে পারে। এরপর ১৯ ডিসেম্বর থেকে তাপমাত্রা আবার কমতে শুরু করবে। শৈত্যপ্রবাহ রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের পাশাপাশি খুলনা, সিলেট বিভাগে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
তিনি বলেন, গত বছরের চেয়ে এবার যে শীত বেশি। তা এরই মধ্যে দৃশ্যমান। গত বছরের এ সময় তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল। এবার একই সময়ে তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি কমেছে।
আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেছা বলেন, অন্যান্য বছর ঘন-কুয়াশা দেখা যেত ২০ ডিসেম্বর কিংবা তারও পরে। এবছর আমরা এখনি রাজধানীসহ সারাদেশে কুয়াশা দেখতে পারছি। এখানে বায়ুদূষণের একটা প্রভাব রয়েছে। এবছর এমন হতে পারে ‘ফিলস লাইক’ বেশি হতে পারে। যেমন: তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলেও অনুভূতি হতে পারে ৮/৯ ডিগ্রির মতো।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে ২০১৮ সালে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন ২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার রেকর্ড রয়েছে। এ বছর জানুয়ারিতে শীত বাড়বে, তবে তাপমাত্রা কততে নামতে পারে সেটি বলা যাচ্ছে না।