খুলনা | শুক্রবার | ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১৩ পৌষ ১৪৩১

পদত্যাগ করে পুনরায় স্বপদে ফিরলেন মুজিব কোট পরা শিক্ষক!

লায়ন্স স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত

নিজস্ব প্রতিবেদক |
০৬:৫৩ পি.এম | ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪


নগরীর লায়ন্স স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ বাদশা খানের বিরুদ্ধে নানান অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার (রেকর্ড রুম শাখা) ইমরান হাসান গত ১৭ অক্টোবর দুর্নীতির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। তবুও নেওয়া হয়নি আইনগত ব্যবস্থা বরং অধ্যক্ষ কক্ষের তালা ভেঙে বসানো হয়েছে স্বপদে। দায়িত্ব পালনে ফিরে গেছেন তিনি। এতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।
জেলা প্রশাসক কার্যালয়, খুলনার শিক্ষা ও কল্যান শাখার স্মারক নং-০৫.৪৪.৪৭০০.০২০.১৮.০৬০.২৪-৬৬৫ (যুক্ত), তাং-১৭/১০/২০২৪-সূত্রে এ তদন্ত হয়।
স্মারক নং ০৫.৪৪.৪৭০০.০০৯.১৮.০০১.২৪-২৫৮ (যুক্ত), তাং-১৫/১০/২০২৪-এ প্রেরিত ৮ পাতার তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের কাছ থেকে ২০২০ সাল থেকে এ পর্যন্ত বিদ্যুতের বিল সংগ্রহ করা হলেও স্কুলে তহবিলে জমা দেননি অধ্যক্ষ। গভর্নিং বডির দাতা সদস্য সারফুজ্জামান টফির কাছ থেকে প্রাপ্ত অনুদান জেনারেল ফান্ডে জমা দেয়নি। ভর্তি ফরম ও প্রশংসাপত্র বিক্রির প্রাপ্ত অর্থ ফান্ডে দেয়া হয়নি। ডায়েরি বিক্রির প্রাপ্ত অর্থ ফান্ডে জমা দেয়া হয়নি। প্রতিষ্ঠানের মাঠ ও হলরুম ভাড়া বাবদ রশিদ বিহীন প্রাপ্ত অর্থ ফান্ডে জমা দেয়া হয়নি। অতিরিক্ত ক্লাস/কোচিং থেকে প্রাপ্ত অর্থ তহবিলে জমা দেননি। পরীক্ষার খাতা বিক্রি করে প্রাপ্ত টাকা জমা দেয়া হয়নি। জেনারেল তহবিল থেকে শিক্ষক-কর্মচারীদের প্রদেয় বেতন-ভাতার মধ্যে সুস্পষ্ট বৈষম্য পরিলক্ষিত হয়।
প্রতিবেদনে সবশেষ অংশে বলা হয়েছে, চলতি বছরের ১ সেপ্টেম্বর লায়ন্স স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক প্রতিনিধি এবং অভিভাবক প্রতিনিধি কর্তৃক জেলা প্রশাসক বরাবর দাখিলকৃত অভিযোগপত্রের ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ৮ এবং ১১নং অভিযোগ সমূহের সত্যতা প্রমাণিত।
জানা গেছে, পতিত আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায় ফ্রি স্টাইল দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বললে নেমে আসতো নানা হয়ারী ও জীবন নাশের হুমকি। ভয়ে কেউ কথা বলাতো না। সরকার পতনের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের চাপের মুখে পদত্যাগ করলে ভিন্ন রূপে রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় পুনরায় ফিরেছে স্বপদে। পুনর্বাসিত হলো আওয়ামী ঘরোনা শিক্ষকের।