খুলনা | বুধবার | ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৪ পৌষ ১৪৩১

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা

সাত বছর কারাভোগের পরে বাগেরহাটে এলেন বিএনপি নেতা মনি, খুশি নেতা-কর্মীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাগেরহাট |
০২:২১ এ.এম | ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪


দীর্ঘ ৭ বছর পরে নিজ জন্মস্থানে ফিরেছেন জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় দীর্ঘ সাত বছর সশ্রম কারাদণ্ড ভোগকারী বিএনপি নেতা মনিরুল ইসলাম খান। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুরে তিনি বাগেরহাটে পৌঁছান। শহরের খানজাহান আলী (রহঃ) এর মাজার মোড় এলাকায় কয়েক হাজার নেতা-কর্মী তাকে ফুলের শুভেচ্ছা জানান। পরে নেতা-কর্মীদের নিয়ে খানজাহান আলী (রহঃ) এর মাজার জিয়ারত করেন।
এ সময়, বাগেরহাট জেলা বিএনপি’র যুগ্ম-আহবায়ক খাদেম নিয়ামুল নাসির আলাপ, বিএনপি নেতা হাদিউজ্জামান হীরু, সরদার জাহিদুল ইসলাম, হাজরা আছাদুল ইসলাম পান্না, শাহিদা আক্তার, যুবদল নেতা সুজাউদ্দিন মোল­া সুজন, শহিদুল ইসলাম খোকন, মুন্নাসহ দলীয় নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে শেষে নেতা-কর্মীদের নিয়ে নিজ বাড়ি কচুয়ার গোপালপুরে যান মনিরুল ইসলাম খান। পরে বিকেলে কচুয়া উপজেলা বিএনপি আয়োজিত বিজয় মিছিলে অংশ নেন তিনি। কচুয়া উপজেলা বিএনপি’র কার্যালয়ের সামনে থেকে মিছিলটি বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জিরোপয়েন্ট এলাকায় এসে শেষ হয়। সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য দেন বাগেরহাট জেলা বিএনপি’র আহবায়ক এটিএম আকরাম হোসেন তালিম, সাবেক সভাপতি এম এ সালাম, কারাবরণকারী বিএনপি নেতা মনিরুল ইসলাম খান, উপজেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব তৌহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
এদিকে দীর্ঘদিন পরে এলাকায় ফেরায় খবরে নেতা-কর্মীদের মাঝে উচ্ছ¡াস-উদ্দীপনা বিরাজ করছে। মনিরুল ইসলাম খানের এই আগমন বাগেরহাটে বিএনপি’র নেতা-কর্মীদের আরও ঐক্যবদ্ধ করবে বলে আশা তৃণমূলের কর্মীদের।
কচুয়া উপজেলা বিএনপি’র সমন্বয়ক সরদার জাহিদুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন পরে মনিরুল ইসলাম খান এলাকায় আসছেন এটা আমাদের জন্য আনন্দের। আমরা সবাই মিলে তাকে গ্রহণ করেছি। বিজয় দিবসে আমরা এক সাথে শোভাযাত্রায় অংশ নিয়েছে, খুবই ভালো লাগছে। তার আসার খবরে উপজেলার সকল নেতা-কর্মীরা খুবই আনন্দিত।
বাগেরহাট জেলা বিএনপি’র আহবায়ক এটিএম আকরাম হোসেন তালিম বলেন, মাত্র তিন কোটি টাকার মামলায় বিএনপি’র চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে আসামি করা হয়েছে। ওই তিন কোটি টাকা এখন ৮ কোটি হয়েছে। উচ্চ আদালত মামলাটি খারিজ করে দিয়েছে। কিন্তু শেখ হাসিনা ফরমায়েশি মামলায় মনিরুল ইসলাম খানের তরুণ জীবন নষ্ট করে দিয়েছে। আমরা বিজয় দিবসে এর তীব্র নিন্দা জানাই।
৫৫ বছর বয়সী মনিরুল ইসলাম খানের জন্ম বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার গোপালপুর গ্রামে। কচুয়া উপজেলার সদরের সিএস পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করে, পিরোজপুরের সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। পরে একই কলেজ থেকে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করেন। ছাত্র জীবন থেকেই তিনি শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে জাতীয়তাবাদী রাজনীতিতে যোগদান করেন। ছাত্র জীবনে তিনি ছাত্রদলের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। বর্নাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে তিনি বাগেরহাট জেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি, কচুয়া উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক কমিটির সদস্যসহ বিভিন্ন দলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি অবিভক্ত ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব ছিলেন। শেখ হাসিনা সরকারের মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক জিডা চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলাড  বিএনপি’র চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাথে জেল খেটেছেন। দীর্ঘ সাত বছর কারাভোগের পর নতুন করে বাংলাদেশ স্বাধীন হলে তিনি কারামুক্ত হন। ভবিষ্যতে দেশ ও জাতীর কল্যাণে নিজেকে বিলিয়ে দেওয়ার ইচ্ছে রয়েছে বলে জানান মনিরুল ইসলাম খান।