খুলনা | সোমবার | ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৯ পৌষ ১৪৩১

সিনিয়র স্বরাষ্ট্র সচিব নাসিমুল গণি

খবর প্রতিবেদন |
০১:২২ এ.এম | ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪


স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের (জন বিভাগ) সিনিয়র সচিব ড. নাসিমুল গণি। রোববার উপ-সচিব জামিলা শবনম সাক্ষরিত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। উলে­খ্য, নাসিমুল গণি সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেনের স্থলাভিষিক্ত হলেন। মন্ত্রণালয়ের বিদায়ী সচিব ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। 
এর আগে ১৮ আগস্ট নাসিমুল গনি সিনিয়র সচিব হিসেবে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে যোগদান করেন। তিনি বিসিএস ১৯৮২ ব্যাচের প্রশাসন ক্যাডারের একজন কর্মকর্তা। 
নাসিমুল গনি মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃতি ছাত্র ছিলেন। তিনি মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ থেকে ১৯৭৩ সালে এসএসসি এবং ১৯৭৫ সালে এইচএসসি পাস করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগ থেকে ১৯৮০ সালে অনার্স এবং ১৯৮১ সালে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন।
স্বরাষ্ট মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের দায়িত্ব পাওয়া ড. নাসিমুল গনি বিসিএস ১৯৮২ ব্যাচের প্রশাসন ক্যাডারের একজন কর্মকর্তা। তিনি বাংলাদেশের সিভিল সার্ভিসে ১৯৮২ ব্যাচ অন্যতম মেধাবী ব্যাচ হিসেবে পরিচিত। ১৯৮২ ব্যাচের প্রশাসন ক্যাডারের ১৪২ জনের মেধা তালিকায় নাসিমুল গনির অবস্থান ছিল ৬ষ্ঠ।
নাসিমুল গনি ১৯৮৩ সালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলাতে সহকারী কমিশনার হিসেবে তার চাকুরিজীবন শুরু করেন। চার বছর রাঙ্গামাটিতে চাকুরি করার পর তাকে বগুড়া পল­ী উন্নয়ন একাডেমির সহকারী পরিচালক পদে নিয়োগ করা হয়। পরে তাকে একাডেমির উপ-পরিচালক এবং আরও পরে যুগ্ম-পরিচালক পদে নিয়োগ করা হয়।
১৯৯০ সালে তিনি সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুরের উপজেলা নির্বাহী অফিসার পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হন এবং ১৯৯১ সালে তিনি ভূমি মন্ত্রীর একান্ত সচিব পদে হিসেবে বদলী হন। পরে তাকে শিক্ষামন্ত্রীর একান্ত সচিব পদে নিয়োগ করা হয়। ১৯৯৫ সালে তাকে বাংলাদেশ দূতাবাস, বাগদাদ, ইরাকে প্রথম সচিব (শ্রম) পদে নিয়োগ করা হয় এবং এক বছর পর তাকে বাগদাদ থেকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। দেশে ফেরার পর তাকে ভোলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পদে নিয়োগ করা হয় এবং পরে চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পদে বদলী করা হয়।
১৯৯৯ সালে তাকে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষাব্যুরোর উপ-পরিচালক পদে নিয়োগ করা হয়। ২০০১ সালে তিনি উপ-সচিব পদে পদোন্নতি লাভ করেন এবং জামালপুর জেলায় জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন শেষে তিনি স্পিকারের একান্ত সচিব পদে নিযুক্ত হন।
২০০৪ সালে তিনি যুগ্ম-সচিব পদে পদোন্নতি লাভ করেন এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে যুগ্ম-সচিব হিসেবে কাজ করেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক ও পরবর্তীতে বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৬ সালে অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি লাভ করেন। তাকে মহামান্য রাষ্ট্রপতির একান্ত সচিব পদে নিয়োগ করা হয়। ২০০৭ সালে তাকে নিপোর্টের মহাপরিচালক পদে পদায়ন করা হয়। ২০০৯ সালে তাকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়। চার বছর ওএসডি থাকার পর ২০১৩ সালে তাকে চাকুরি থেকে অবসর প্রদান করা হয়।
২০২৪ সালের আগস্ট মাসে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তাকে সিনিয়র সচিব পদমর্যাদায় জন বিভাগ, রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রদান করেন।