খুলনা | শুক্রবার | ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১৩ পৌষ ১৪৩১

তসলিমা নাসরিনের নাটক নিষিদ্ধ করলেন মমতা

খবর প্রতিবেদন |
০১:২৭ এ.এম | ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪


নির্বাসিত লেখিকা তসলিমা নাসরিনের বিতর্কিত নাটক ‘লজ্জা’ পশ্চিমবঙ্গে নিষিদ্ধ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। সোমবার বিকেলে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে বিষয়টি নিশ্চিত করেন এই লেখক নিজেই। 
যেখানে তসলিমা লিখেছেন, মমতা ব্যানার্জি আজ (সোমবার) আমার লজ্জা নাটকটি পশ্চিমবঙ্গে নিষিদ্ধ করলেন। গোবরডাঙ্গায় আর হুগলির পাণ্ডুয়ার নাট্যউৎসবে লজ্জা নাটকটি মঞ্চস্থ হওয়ার কথা ছিল। দু’মাস যাবৎ বিজ্ঞাপন যাচ্ছে নাট্যউৎসবের। আর আজ (সোমবার), বলা নেই কওয়া নেই হঠাৎ মমতা ব্যানার্জির পুলিশ এসে জানিয়ে দিলো, সব নাটক মঞ্চস্থ হবে, শুধু লজ্জা ছাড়া।  
তসলিমা নাসরিন উলে­খ করেন, নবপল­ী নাট্যসংস্থা দিলি­তে তিনবার নাটকটি মঞ্চস্থ করেছে। তিনবারই  প্রেক্ষাগৃহ পূর্ণ ছিল। 
এই লেখক বলেন, পুলিশ জানিয়েছে লজ্জা মঞ্চস্থ হলে মুসলিমরা নাকি দাঙ্গা বাধাবে। মুসলিমরা দাঙ্গা বাধাবে এই অজুহাতে সম্পর্কের টানাপোড়েন নিয়ে লেখা আমার মেগাসিরিয়াল ‘দুঃসহবাস’, যেটি  টেলিভিশনে আকাশ ৮ চ্যানেল থেকে স¤প্রচার করার কথা ছিল, সেটি বন্ধ করে দিয়েছিলেন রাজ্য সরকার। লজ্জার ঘটনা বাংলাদেশের। কী কারণে পশ্চিমবঙ্গের মুসলিমরা বাংলাদেশের ঘটনা নিয়ে দাঙ্গা বাধাবে, আমার বোধগম্য নয়।  
এরপর তসলিমা বলেন, মুসলিমরা দাঙ্গা বাধাবে এই অজুহাতে আমাকে এক সময় পশ্চিমবঙ্গ থেকেও বের করে দেওয়া হয়েছিল। 
সবশেষ এই লেখকের প্রশ্ন, যারা দাঙ্গা বাধাতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে, শিল্প সাহিত্যকে নিষিদ্ধ করা হয় কেন? শিল্পী সাহিত্যিকের  কন্ঠরোধ করা হয় কেন? এই  প্রশ্নটি আর কত যুগ একা একা আমিই  করে যাব? আর কারও দায়িত্ব নেই অন্যায়ের প্রতিবাদ করার?
প্রসঙ্গত, তসলিমা নাসরিনের লেখা ‘লজ্জা’ উপন্যাসটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৯৩ সালে। কিছুদিনের মধ্যেই বাংলাদেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয় এই বইটি। সেই উপন্যাস থেকেই তৈরি করা হয়েছিল ‘লজ্জা’ নাটক। যেটিও নিষিদ্ধ ঘোষণা করল পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।