খুলনা | শনিবার | ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১৪ পৌষ ১৪৩১

উন্নয়ন সংস্থার ‘বিন্দু’র মিডিয়া শেয়ারিং

নিজস্ব প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে স্বাবলম্বী হচ্ছে উপকূলের কৃষকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক |
০২:০২ এ.এম | ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪


উপকূলীয় শ্যামনগরে প্রতি বছর সিডর, আইলার মতো দুর্যোগ আঘাত আনে। এর ফলে জানমালের ক্ষতি হয়। গৃহহীন এবং খাদ্য সংকটে পড়ে বহু মানুষ, গবাদীপশু। তখন অন্যের সাহায্যের জন্য অপেক্ষা করতে হয়, হাত পাততে হয়। দুর্যোগ কেটে যাওয়ার পরে খাবার পানি আর খাদ্য সংকট বাড়ে বহুগুণে। জলাবদ্ধতা, লবণাক্ততা, ভূমির অভাবে নতুন করে কৃষি কাজ বা কোন সবজি ফলানো যায় না। কয়েক বছর ধরে এ সমস্যার সাথে আমাদের বসবাস করতে হয়। তখন আমরা স্থানীয় ভাবে এবং বেসরকারি উন্নয়ন সংগঠনের সহায়তায় তিন স্তর বিশিষ্ট সবজি চাষাবাদ শুরু করি। মাচা করে বস্তা পদ্ধতিতে সবজি চাষাবাদ শুরু করি। গৃহস্থলিতে ব্যবহার করা পানি ফেলে না দিয়ে সেই অল্প মিঠা পানি ওই গাছে দেই। কয়েকদিন পরে সেখান থেকে আমাদের প্রয়োজনীয় শাক এবং সবজির বড় একটা চাহিদা পূরণ হয়।
কথাগুলো বলছিলেন সাতক্ষীরা শ্যামনগর উপজেলার ঈশ্বরীপুর ইউনিয়নের ধুমঘাট এলাকার অর্পণা রানী মিস্ত্রী। তিনি বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় ‘জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতিক‚ল প্রভাবের সাথে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা দুর্বল মানুষদের মোকাবেলা করার ক্ষমতা জোরদারকরণ’ শীর্ষক মিডিয়া শেয়ারিংয়ে এসব কথা বলেন। স্থানীয় বেসরকারি উন্নয়ন সংগঠন ‘বিন্দু’ নারী উন্নয়ন সংস্থা এর আয়োজক।
একই উপজেলার আবাদ চন্ডিপুর এলাকার কৃষ্ণেন্দু রায় এবং সন্ধ্যা রানী মিস্ত্রী তাদের জীবনের গল্প তুলে ধরেন। তারা বলেন, আজ আমরা নিজেরাও খেতে পারি। আর অন্য মানুষকেও খাওয়াাতে পারি। আমরা নিজস্ব প্রযুক্তি আর আগ্রহকে কাজে লাগিয়ে স্বাবলম্বী হয়েছি। লবণ পানি, নদী ভাঙনের মধ্যে সবজি চাষাবাদ করে নিজের সংসারের চাহিদা মেটাচ্ছি আর বিক্রিও করছি।
বিন্দু’র নির্বাহী পরিচালক জান্নাতুল মাওয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা প্রেসক্লাবের আহবায়ক মোঃ এনামুল হক। অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন দৈনিক দিনকাল’র মোঃ সোহরাব হোসেন, আমার দেশ’র এহতেশামুল হক শাওন, কালের কণ্ঠ’র কৌশিক দে বাপী, ইনডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের এএইচএম শামিমুজ্জামান, ইনকিলাবের আসাফুর রহমান কাজল, সময়ের খবরের আশরাফুল ইসলাম নুর, দৈনিক প্রবাহের খলিলুর রহমান সুমন, খবরের কাগজের মাকসুদ আলী ও দৈনিক সুপ্রভাত সাতক্ষীরার মাজহারুল ইসলাম প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চল সাতক্ষীরার শ্যামনগর, কালিগঞ্জ এবং তালা উপজেলায় বিন্দু মানবাধিকার রক্ষা, যুব নারীদের ক্ষমতায়ন, যুব উন্নয়ন, শিশু উন্নয়ন, শিক্ষার গুনগতমাণ, সমতার মাধ্যমে লিঙ্গ প্রতিক্রিয়াশীল জনসেবা নিশ্চিতকরণ, এসডিজি’স গুলোর স্থানীয়করণ, স্বাস্থ্য, দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস, জলবায়ুর সুবিচার, টেকসই পরিবেশ নিশ্চিত করণে কাজ করে যাচ্ছে।