খুলনা | বৃহস্পতিবার | ০৯ জানুয়ারী ২০২৫ | ২৫ পৌষ ১৪৩১

বিসিবি সভাপতির দুর্ব্যবহার, বোর্ড ছাড়ার ইঙ্গিত ফাহিমের

ক্রীড়া প্রতিবেদক |
০৩:৩৯ পি.এম | ০৫ জানুয়ারী ২০২৫


বিপিএলে মানেই যেন ডালাভর্তি অভিযোগের পসরা। দল গঠন থেকে শুরু করে অনুশীলনের জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধার অভাব ছিল নিত্য সঙ্গী। অন্তত ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টটির দশম আসর পর্যন্ত চিত্র ছিল ঠিক এমনই। এগারতম আসর শুরুর আগে নতুন আঙ্গিকে বিপিএল সাজানোর আভাস দিয়ে থাকেন বিসিবি সভাপতি। মাঠের খেলায় রানবন্যা দেখা গেলেও মাঠের বাইরে যতো বিতর্ক।

টিকিট না পেয়ে গেইট ভেঙেছেন দর্শকরা। ঘটেছে অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনাও। আবার বিসিবি সভাপতির সঙ্গে ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার দুর্ব্যবহার জন্ম দিয়েছে আলোচনার। তবে এবার দুর্ব্যবহারের অভিযোগ স্বয়ং বোর্ড সভাপতি ফারুক আহমেদের দিকে। জানা গেল বিসিবি সভাপতির দুর্ব্যবহারের শিকার হয়েছেন বোর্ডের পরিচালক নাজমুল আবেদিন ফাহিম। বোর্ডপ্রধানের এমন আচরণে ক্ষুব্ধ তিনি।

ইঙ্গিত দিয়েছেন বোর্ড থেকে সরে দাঁড়ানোরও। দেশের বেসরকারি টিভি চ্যানেল যমুনার সঙ্গে আলাপকালে পরিচালক ফাহিম বোর্ডপ্রধান ফারুকের দুর্ব্যবহারের বিষয়টি স্বীকার করেছেন বিষয়টি।

ঠিক কী বলেছিলেন বোর্ড সভাপতি, সেটা অবশ্য ক্যামেরার সামনে প্রকাশ করেননি দেশের এই বর্ষীয়ান কোচ ও ক্রিকেট সংগঠক। তবে তিনি বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘ওরকম একটা মন্তব্য… আমি স্পেসেফিক বলতে চাই না মন্তব্যটা কী ছিল, তবে সেটা আমাকে খুবই হতাশ করেছে। সেটা বুঝিয়ে দিয়েছে এই মুহূর্তে ক্রিকেট বোর্ড বা প্রেসিডেন্ট হয়ত আমাকে তার আত্মবিশ্বাসের জায়গায় নিচ্ছেন না।’

নাজমুল ফাহিমের ভাষ্য, ‘আমি জানিনা কেন প্রেসিডেন্ট আমার ব্যাপারে কমেন্ট করেছে। তবে আমি খুব অবাকও হয়েছিলাম। স্বাভাবিকভাবেই আমি মোটেই আশা করিনি ওরকম একটা মন্তব্য। আর সেটা অনেকগুলো মানুষের সামনে। সেখানে মন্ত্রণালয়ের মানুষ ছিল।’

বোর্ডপ্রধানের এমন আচরণে হতাশ ফাহিম। বোর্ড থেকে সরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিতও দিয়েছেন তিনি। বলেন, ‘আমার মাঝেমাঝে মনে হয় বোর্ডে না থাকলেই বুঝি ভালো হয়। কারণ বোর্ডের বাইরে থেকে আমি যে ভূমিকা রাখতে পারি বা কথা বলতে পারি, তা বোর্ডে থেকে সম্ভব না। আমি যদি বোর্ডে থাকি, আমাকে কাজ করতে হবে। যদি কাজ করতে না পারি, তারচে ভালো বাইরে থাকা।’ আলাপের এক পর্যায়ে বোর্ডে কাজ করার ক্ষেত্রে স্বাধীনতা পাওয়া না পাওয়ার কথাও তুলেছেন তামিম-সাকিবদের গুরু ফাহিম।