খুলনা | বৃহস্পতিবার | ০৯ জানুয়ারী ২০২৫ | ২৫ পৌষ ১৪৩১

রাজনৈতিক অস্থিরতার অবসান ঘটুক

|
১১:৫৮ পি.এম | ০৫ জানুয়ারী ২০২৫


নতুন বছরে দেশে সব সুন্দর কার্যক্রমের শুভ সূচনা হোক, এটি আমাদের সবার প্রত্যাশা। বিশেষ করে আমাদের প্রথম এবং অন্যতম চাওয়া হলো, দেশে বিদ্যমান সব রাজনৈতিক অস্থিরতার অবসান ঘটুক এবং স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পরিবেশের যাত্রা শুরু হোক। খুব ন্যায্যভাবেই সাধারণ জনগণের অন্যতম একটি প্রত্যাশা হলো স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশের মধ্য দিয়ে তাদের সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক অধিকারের সুষ্ঠু প্রাপ্তি এবং প্রয়োগের সমন্বয় ঘটা। গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অসংখ্য নিরপেক্ষ ছাত্র, পেশাজীবী, সাংস্কৃতিক কর্মীসহ সর্বস্তরের জনগণ অংশ নিয়েছিল। তাদের প্রত্যাশা ছিল তাদের সেই নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য অধিকারপ্রাপ্তির পরিস্থিতি স্থায়ীভাবে দেশে প্রতিষ্ঠিত হবে। আর এমন প্রত্যাশার যাত্রায় আশায় বুক বেঁধে আমরা সবাই নতুন বছরে পা রেখেছি। আর নতুন বছরের শুরুতেই আমরা চাই, দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আপ্রাণ চেষ্টার সুন্দর সমতল মাঠ তৈরি হবে। এমনকি দেশের ছাত্র-জনতা গণতান্ত্রিক শাসনকে সুসংহত করার ক্ষেত্রে অতন্দ্রপ্রহরীর ভূমিকায় ন্যায্যভাবে সর্বদা সক্রিয় অবস্থানে থাকবেন। দেশের অর্থনীতি, রাজনীতি এবং সংস্কৃতি প্রতিটি ক্ষেত্রে এক ধরণের নিশ্চয়তার পরিবেশ আমাদের সবার কাক্সিক্ষত। 
রাজনৈতিক সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ গুণগত পরিবর্তন দীর্ঘদিন থেকে আমাদের প্রত্যাশা। রাজনীতিবিদদের পক্ষ থেকে ঘৃণা ছড়ানো বা প্রতিহিংসার রাজনীতি বন্ধ হোক, নতুন বছরটি আমাদের জন্য গুণগত রাজনীতির ক্ষেত্র তৈরি করুক।
রাজনৈতিক সংস্কৃতির গুণগত পরিবর্তন হোকএ বছরে আমাদের আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রত্যাশা হলো শিক্ষার্থীরা যথাযথভাবে পড়াশোনায় মনোযোগী হয়ে উঠবে। এমনকি আমরা চাই, এমন কোনো পরিস্থিতি নতুন করে সৃষ্টি না হোক যার জন্য শিক্ষার্থীদের মাঠে নামতে হয়। আন্দোলন-সংগ্রাম করতে হয়।
এমনকি পরীক্ষা না দিয়ে অটো পাশের মতো নেতিবাচক সংস্কৃতির সাক্ষী যেন হতে না হয়। বিশেষ করে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছোটখাটো বিষয় নিয়ে রাজপথে মাঠে নামার যে সংস্কৃতি বিগত বছরে লক্ষ্য করা গিয়েছিল, সেটি কোনোভাবেই আমাদের কাম্য ছিল না। 
এখন সময় এসেছে সরকারি সেবা খাতগুলোকে শতভাগ জবাবদিহিতায় আনা। দেশের সেবা খাত দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে পড়ার কারণে সাধারণ মানুষকে এখনো বিভিন্ন দিক থেকে বিপাকে পড়তে হচ্ছে। দেশে ধনী লোকের সংখ্যা বাড়লেও দারিদ্রের হার এখনো উলে­খযোগ্য। মাত্রাগত দিক থেকে এর ভয়াবহতা এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি। ২০২৫ সাল হোক শান্তি এবং স্থিতিশীল সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনের মসৃণ পথ এবং পাথেয়। সব নেতিবাচকতার পরিবর্তে আমাদের সবার জীবন অনন্য সব ইতিবাচক মুহূর্ত অনুরণিত হোক।